জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের বিজিবির কথিত সোর্স তারেক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আমিনকে পুলিশ রোববার গভীর রাতে মহেশপুর উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন। আলোচিত এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এ পর্য়ন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জীবননগর থানার চৌকস পুলিশ অফিসার নাহিরুল ইসলাম উক্ত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশপুর থানা পুলিশের সহযোগীতায় রোববার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মহেশপুর উপজেলার কাগমারী গ্রাম থেকে আমিনুল ওরফে আমিনকে(৪০) গ্রেফতার করেন। আমি উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর উত্তরপাড়া ইন্তাজ ওরফে ইন্তা মন্ডলের ছেলে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নাহিরুল ইসলাম বলেন,গয়েশপুর গ্রামের রবগুল মন্ডলের ছেলে তারেক এলাকায় বিজিবির কথিত সোর্স হিসাবে পরিচিত ছিল। যে কারণে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক চালান আটক হলেই মাদক ব্যবসায়ীরা তারেককে সন্দেহ করত। গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে তারেকসহ এলাকায় কয়েকজন সোর্স মাঠে যায় বলে এলাকায় প্রচার আছে। আর ওই রাতেই তাকে মাদক ব্যবসায়ীরা বেধড়ক কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে মাঠের ভিতর ফেলে চলে যায়। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে নেন। জীবননগর হাসপাতাল থেকে তাকে পরবর্তীকে যশোর সদর হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেক মারা যায়। এই ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।ঘটনার পর পরই হত্যকারীরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে।ঘটনার পরের দিন মামলার অন্যতম আসামী ও ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী মাদক সম্য্রাট আতিয়ার রহমান আতিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। অন্যদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীকে আমিনকে কাগমারী থেকে গ্রেফতার করা হয়।