জীবননগর অফিস:-
জীবননগর উপজেলার তারানিবাস গ্রামে বেপারীর বাগানের গাছ কাটতে গিয়ে জোর করে বাগানের উচ্ছিষ্ট অংশ(খড়ি) নেয়ার ঘটনায় বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছেন নিয়োজিত শ্রমিক। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের পুরন্দরপুর গ্রামের মৃত দুলু মিয়ার উজ্জল হোসেন বলেন,আমি কাঠের ব্যবসা করি। এলাকার বিভিন্ন কৃষকের নিকট থেকে বাগান ক্রয় করে সেই বাগান থেকে গাছ কেটে কাঠ হিসাবে বিক্রি করি। একই ভাবে আমি সম্প্রতি তারানিবাস গ্রামের একটি বাগান ক্রয় করি। সেই বাগানের গাছ কাটতে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিক পাঠিয়ে গাছ কাটতে থাকে। এদিকে দুপুর একটার দিকে তারানিবাস গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে সোহাগ হোসেন(৩০) বাগানের গাছ কর্তনের পর ছোট আকারের যে,খড়ি বের হয় তা জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় গাছ কাটা শ্রমিক রনি হোসেন(৩০) বাধা দেয়। এতে সোহাগ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে রনির মাথায় কোপ দিলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মুখে লেগে ঠোঁট কেটে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় রনির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ভেঙ্গে ক্ষতি সাধন করে। সোহাগ বদ মেজাজের হওয়ায় লোকজনের সামনে শ্রমিক রনিকে মারধর করলেও কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস দেখায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সোহাগ হোসেন অত্যন্ত বাজে প্রকৃতির। সে দুর্দান্ত এবং হিংস্র। সে প্রায়ই লোকজনকে মারপিট করে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যাপারে কেউ মুখ খুললে হামলার শিকার হতে পারে এমন আশঙ্কা গ্রামবাসীর।
এ ব্যাপারে হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল গনি বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এমন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রক্তাক্তের ঘটনার সৃষ্টি হওয়া ঠিক হয়নি। মালিককে না বলে সোহাগ হোসেন খড়ি কেন দিতে যাবে? তার এমন আচরন ঠিক হয়নি। ঘটনার ব্যাপারে মামলা হওয়ার কথা শুনেছি। উভয়পক্ষ রাজি থাকলে স্থানীয় ভাবে বিবাদটি মিটিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।###