জীবননগর অফিস:-
জীবননগর উপজেলার শহরের হাসপাতালের সামনে অবস্থিত ফুড গার্ডেনের এক কর্মচারির বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিবন্দ্বী ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। তানভির হোসেন(২৫) নামের ওই কর্মচারি প্রতিবন্দ্বী ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ছাত্রীর পরিবারকে বাগে আনতে তানভির হারপিক গায়ে গায়ে-মুখে লাগিয়ে আত্মহত্যার ভান করেছে বলে ছাত্রীর পরিবার থেকে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে তানভিরকে সব ধরনের সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছেন ফুড গার্ডেন মালিক হিমেল।
ভুক্তভোগী শারীরিক প্রতিবন্দ্বীর ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ তাদের শারীরিক প্রতিবন্দ্বী মেয়ে অত্যন্ত মেধাবী এবং সদ্য অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরিক্ষা সফল ভাবে শেষ করেছে। সেই ছাত্রী ফুড গার্ডেনে কোন সময় যাওয়ার সুযোগে কর্মচারি তানভির কৌশলে প্রতিবন্দ্বী ছাত্রীর মোবাইল ফোন নম্বরটি নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে নানা ছলচাতুরিতে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে থাকে এবং নিজেকে অনেক ধনী পরিবারের সন্তান পরিচয় দেয়। বিদেশে তার ব্যাংক ব্যালেন্স আছে। নিজেকে বিক্রমপুরের সন্তান পরিচয় দিলেও আজ পর্য়ন্ত জানতে পারেনি তার আসল পরিচয়। এদিকে অতিসম্প্রতি ওই ছাত্রীর বাড়ী পর্য়ন্ত পৌছে যায় তানভির এবং তাকে বিয়ে করারও প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তার সে প্রস্তাবে সাড়া মেলেনি ওই ছাত্রী কিংবা পরিবারের পক্ষ থেকে। ওই ছাত্রীর দাবী সে শারীরিক ভাবে প্রতিবন্দ্বী হলেও তার অদম্য ইচ্ছা সে লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হবে। কিন্তু তানভির নাছোড়বান্দা হয়ে তাকে বিয়ে করতে নানা ফন্দি ফিকির শুরু করেছে। হুমকি দিচ্ছে তার সাথে বিয়েতে রাজি না হলে আত্মহত্যা করবে। এদিকে রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই তানভির হারপিক খায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকের দাবী হারপিক খায়নি,মুখে গায়ে লাগিয়েছে। তার এমন আচরনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন ওই ছাত্রী ও তার পরিবার।
প্রতিবন্দ্বী ছাত্রীর ভাইয়ের অভিযোগ ঘটনার ব্যাপারে আমরা ফুড গার্ডেনের মালিক হিমেলকে বললে হিমেল ও একই স্থানের অপর কর্মচারি সিরাজ আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে যে,বিয়ে দিতে রাজি না হলে তানভিরের কোন কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব তোমাদেরকে নিতে হবে।
অভিযুক্ত তানভির হোসেন কীটনাশক সেবনের কথা স্বীকার করে বলেন,আমার সাথে তার(ছাত্রী) অনলাইনে পরিচয় হয়। সে আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে ঢাকা থেকে ৬ মাস আগে জীবননগরে এনেছে। আমি তাদের বাড়ীতেও কয়েকবার গিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে এখন তারা আর আমার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্য়ন্ত তানভির চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান করছে এবং বলে যে,আজ(সোমবার) রাতেই জীবননগর চলে আসছি।
ফুড গার্ডেন মালিক হিমেল হোসেন বলেন,তানভির আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি। তার কাছে আমি শুনেছি ওই ছাত্রী তানভিরের সাথে সম্পর্ক করে টাকা বিয়ের নামে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে সব কিছু ভাল বলতে পারবে তানভির নিজেই। তানভির হোসেন হারপিক খেয়েছে বলে হিমেল স্বীকার করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে আসল ঘটনা কি বলা যাবে এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।###