জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুর গ্রামের এক মাদকাসক্ত মাতাল স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী-সন্তান। মাদকাসক্তের আচরনে বিব্রতকর পরিস্থিতে রয়েছেন প্রতিবেশীরা। মাদকাসক্ত স্বামী খিলুক একই ভাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে মাতাল হয়ে স্ত্রীকে হাতুড়ি পেটা করেছে। অতিষ্ঠ স্ত্রী-সন্তানের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও মাদকাসক্ত খিলুকের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী করেছেন। এদিকে অতিষ্ঠ স্ত্রী নিলুফা খাতুন ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর পুর্বপাড়া গৃহবধু নিলুফা খাতুন(৩৫) বলেন,আমার স্বামী খিলুকের(৪২) সাথে ১৫-১৭ বছর আগে বিয়ে হয়। তার সাথে বিয়ের পর দেখে আসছি সে নেশা করে। তাকে আমি অনেক চেষ্টা করেও সংশোধন করতে পারিনি। আমার দুই মেয়ে সন্তানের একজনের ইতিমধ্যেই বিয়েসাদিও দিয়েছি তারপরও সে নেশা করা ছাড়ে না। সে মাদকাসক্ত হয়ে প্রায়ই কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে আমাকে মারধর শুরু করে দেয়। কোন কারণ থাকে আর সে জন্য মারধর করে তাও হয়। বাড়ীতে মাদক দ্রব্য খেয়ে আসলেই শুরু হয়ে বেসামাল আচার আচরন। একই ভাবে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নেশা করে মাতলামী করতে করতে বাড়ী যায় এবং বাড়ীতে গিয়েই কোন কথা নেই বার্তা নেই আমাকে গালিগালাজ করে হাতুড়ি দিয়ে মারধর শুরু করে দেয়। বিবাদীদের আঘাতে আমার মাজার হাড়ে ও বাম পায়ে মারাত্মক ভাবে আহত হই। আমি প্রতিবেশীদের বাড়ীতে পালিয়ে গেলেও আমাকে প্রতিবেশীদের বাড়ীতে গিয়ে মারধর করতে থাকে। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীরা আমার ভাইদের সংবাদ দিলে তারা রাতেই আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ খিলুক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত এবং তার মাতলামির কারণে তারা বিব্রত। খিলুক নেশা করে গ্রামের ভিতর দিয়ে মাতলামি করতে করতে বাড়ী যায় এবং অসংলগ্ন আচরন করে মানুষ জনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এলাকাবাসী ভয়ে কিছু বলতে পারে না। কারণ নেশাখোরকে মারধর করে আবার কোন ঝামেলায় পড়তে হয়। তবে প্রশাসনের নিকট প্রতিবেশীদের দাবী তাকে যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল কুদ্দুস বলেন,ঘটনার কথা শুনেছি। খিলুক একজন নিয়মিত মাদক সেবনকারী। প্রতিবেশীরা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। কোন দিন জানি সে প্রতিবেশীদের রোষানলে পড়ে!
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই খিলুককে আইনের আওতায় আনা হবে।