জীবননগর অফিস:-
জীবননগর উপজেলার দেহাটিতে এনজিও কিস্তি পরিশোধ না করায় সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে বিধবা ভাবীকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে ভাবী। ঘটনাটি শুক্রবার সকালে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ভাবী দেবরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি দোসিমানাপাড়ার মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা খাতুন(৪৫) বলেন,আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমি সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ করতে নিজে কাজকর্ম করে এবং এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে জীবনযাপন করে আসছি। এই অবস্থায় আমার প্রতিবেশী আপন চাচা শ্বশুর আনসার আলীর ছেলে সাইদুর রহমান তার প্রয়োজনে আমাকে ব্র্যাক এনজিও সংস্থা থেকে আমার নামে তাকে ৩০ হাজার টাকা তুলে দিতে বলে এবং সে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করবে। আমি তার কথামত সরল বিশ্বাসে আমি তাকে গত ১১ মাস আগে ৩০ হাজার টাকা তুলে দিই। কিন্তু সম্প্রতি এনজিও কিস্তি পরিশোধ না করার কারণে ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ আমাকে চাপ দিয়ে আসছে। আমি তাকে বার বার ঋণ পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে আসছি। কিন্তু কোন কিছুতেই সাড়া মেলেনি। এক পর্য়ায়ে আমাদের গ্রামের মেম্বার দুলাল উদ্দিনকে বলে দেবর সাইদুরের বাড়ীতে শুক্রবার সকাল আটটার দিকে টাকা চাইতে যায়। এতে সাইদুর ও তার ভাই হামিদুল ও বাবু আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে উক্ত মেম্বারের সামনেই বেড়ক পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। তারা আমার মাথার চুল টানাটানি করে চুল ছিড়ে আহত করে এবং হামিদুল আমার বাম হাতে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আমার বৃদ্ধা শ্বাশুড়ী সাহিদা ও মেয়ে হীরা খাতুন তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা তাদেরকেও মারপিট করে। কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার দলুর উদ্দিন দুলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,হামিদুল,বাবু আমার সামনেই বিধবা সাবিনাকে মারপিট করে আহত করে। তাদের এমন ধৃষ্টতায় আমি তো রীতিমত হতবাক। ঘটনার ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
জীবননগর থানার সেকেন্ড অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর কেরামত আলী বলেন,ঘটনার ব্যাপারে আমার ওপর তদন্ত ভার অর্পিত হয়েছে। আমি তদন্ত করে দোষি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।