জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নিশ্চিন্তপুর মাঠে একের পর এক ফসল তছরুপের ঘটনায় হাতেনাতে আটকের পর অভিযুক্ত দু’বোনসহ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর রিফুজিপাড়ার মৃত ইয়াসিন মন্ডলের ছেলে প্রান্তিক কৃষক আফসার আলী বলেন,আমাদের গ্রামের খয়রামারী মাঠে চলতি মৌসুমে চার বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ রয়েছে। বর্তমানে ভুট্টার ফলন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় গরু-ছাগলের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করার জন্য আমাদের গ্রামের বসতিপাড়ার নুর আলীর মেয়ে রুপালী খাতুন ও মিনা খাতুন এবং মৃত কিতাব ডান্টার ছেলে সাইদুর রহমান প্রায়ই গোপনে উক্ত ভুট্টা ক্ষেত গাছ কেটে নিয়ে যায়। আমরা তা ধরার জন্য বিভিন্ন ভাবে পাহারা দিতে থাকি। এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরের দিকে তাদেরকে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে দেখা যায়। কিন্তু তাদের কাছে ভুট্টা গাছ পাওয়া যায় না,তাই আমরা তাদেরকে কোন কিছু বলতে পারিনি। পরে আবার সোমবার সকাল ১১ টার দিকে জমিতে গিয়ে দেখি যে,তারা ভুট্টা গাছ নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আমাকে দেখে জমির মধ্যে ভুট্টা গাছ ফেলে চলে যায়। পরে আমি ভুট্টা গাছগুলো উদ্ধার করে এলাকার মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে দেখায় এবং থানায় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করি। রুপালী ও মিনা অত্যন্ত খারাপ মানুষ। তারা সারাদিন মাঠে মাঠে ঘুরাঘুরি করে আর মানুষের ফসল তছরুপ করে। তাদের অত্যাচারে গ্রামের কৃষকেরা অতিষ্ঠ। তাদেরকে কোন কিছু বললেই তারা নারী নির্যাতনের মামলা করার হুমকি দেয়। সে জন্য মানুষ কিছু বলতেও সাহস পায় না।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মাহফুজুর রহমান মাফি বলেন,রুপালী ও মিনা দু’বোন। তারা অত্যন্ত খারাপ ও অসামাজিক প্রকৃতির মানুষ। তারা সারাদিন মাঠে ঘাটে চলাফিরা করে,আর মানুষের ফসলের ক্ষতি সাধন করে। তারা মানুষের ফসল কেটে নিয়ে তা গরু-ছাগলের খাবার হিসাবে ব্যবহার করে। তাদের বিরুদ্ধে রাস্তা থেকে লোকের ছাগল ধরে নিয়ে বিক্রিরও অভিযোগ আছে। তাদের সাথে্ ইদানিং যোগ হয়েছে সাইদুর। তারা মহিলা মানুষ হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। আবার কেউ কিছু বললেই মিথ্যা নারী নির্য়াতনের মামলা দেয়ার হুমকি দেয়।
জীবননগর অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকের কষ্টে অর্জিত ফসল তছরুপ কারো কাম্য নয়। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।####