জীবননগর অফিস:-
জীবননগর উপজেলার উপ-শহর পিয়ারাতলার যুবক আবুল হোসেনের(৪০) রহস্যজনক আত্মহত্যা নিয়ে নানান গুঞ্জন এলাকায়। রোববার দুপুরের দিকে বাড়ীর অদুরে একটি ড্রাগন বাগানে তাকে বিষপানের ফলে মারাত্মক অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দুইটার দিকে মারা যায়। ঘটনার ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পিয়ারাতলার মৃত কাজুল ইসলামের ছেলে আবুল হোসেন রোববার দুপুর ১২ টার দিকে নিজ বাড়ী থেকে পার্শ্ববর্তী একটি ড্রাগন বাগানের ভিতরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তাকে প্রতিবেশী উক্ত ড্রাগন বাগানের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরন করতে দেখে। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে নিলে সে বিষপান করেছে বলে নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দুপুর দুইটার দিকে মারা যান। তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কারো দাবী তার ছেলেকে নিয়ে স্ত্রীর সাথে সৃষ্ট বিরোধে স্ত্রীর প্রতি অভিমান করে বাড়ী থেকে বের হয়ে গিয়ে ড্রাগন বাগানের ভিতরে বিষপান করেন। আবার কারো দাবী আবুল হোসেন দীর্ঘদিন পেটের পীড়ায় ভুগছিলেন। পেটের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার চামেলী খাতুন বলেন,আবুল হোসেনের পরিবারের দাবী সে দীর্ঘদিন ধরে পেটের পীড়ায় ভুগছিল। এই অবস্থায় রোববার দুপুর ১২ টার দিকে বিষপান করে মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তা হল আবুল বাড়ী থেকে বের হয়ে গিয়ে মাঠের ভিতরে বিষপানের ফলে মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে দুপুর দু’টার দিকে মারা যায়। ঘটনার ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি,খুব শিগগিরই আসল ঘটনা জানা যাবে।###