ফরহাদ হোসেন,জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজলো পৌর শহরে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন মডলে মসজদি এখন উদ্বোধনের অপক্ষোয়। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নব-নির্মিত মডলে মসজিদ ও সাংস্কৃতিক বিনোদন কন্দ্রেরে সব কাজই প্রায় শেষরে দিকে। উদ্বোধনরে প্রস্তুতি হিসাবে এখন শুধু ঘসা-মাজার কাজ চলছে। দৃষ্টি নন্দন এই মসজিদটি উদ্বোধনের আগেই মসজিদের নানাবিধ কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়,জীবননগর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি বি-ক্যাটাগরি হিসাবে ৪৩ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত। তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদটি বি-টাইপের। যেখানে প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন এক হাজার ৬৯৯ দশমিক ১৬ বর্গমিটার। ভবনের মোট আয়তন ২৮৬ ৮৫ বর্গফুট। বাস্তবায়ন ব্যয় ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বেশী নির্ধারন করা হলেও পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ কোটির কাছাকাছি ব্যয় হবে।
আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধাসহ এ মসজিদে থাকছে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্য্র পাঠাগার,গবেষনা কেন্দ্র,ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র,পবিত্র কোরান হাফেজ বিভাগ,শিশু শিক্ষা,অতিথিশালা,পর্যটকদের জন্য আবাসন,মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা,হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ,ইমামদের প্রশিক্ষন,গণশিক্ষা কেন্দ্র ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে একটি পুর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্য্র।
অন্যদিকে দ্বিতীয়তলায় থাকছে মুল নামাজ কক্ষ,কনফারেন্স রুম,অজুখানা,টয়লেট,উপ-পরিচালকের কক্ষ,হিসাব কক্ষ। অপরদিকে তৃতীয়তলায় পুরুষ ও মহিলাদের জ্ন্য আলাদা আলাদা নামাজ কক্ষ,মক্তব কক্ষ,ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার,ইমাম,মোয়াজ্জিন,খাদেম,শিক্ষক,সাধারন কর্মচারিদের কক্ষ,অতিথি কক্ষ থাকছে। এছাড়াও থাকছে মেহেরাব,সিড়ি ও একটি দৃষ্টি নন্দন মিনার। সারাদেশের মডেল মসজিদগুলোর অবকাঠামো গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইসলামী ফাউন্ডেশন। মডেল মসজিদে এক সাথে ৯০০ জন মুসল্লি নামাজের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার আব্দুল হাকিম বলেন,মডেল মসজিদ নির্মাণ বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কারণ এখানে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একটি গবেষণা কেন্দ্র থাকছে। মসজিদ নির্মানের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন চলছে ঘষা-মাজার কাজ। যে কোন সময় খুলে যাবে দৃষ্টি নন্দন ও মনকাড়া এ মসজিদের দ্বার। এলাকার মুসল্লিরা এ মসজিদে জামায়াতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারবেন। পাশাপাশি তারা ইসলামী জ্ঞানও অর্জন করতে পারবেন। মসজিদের নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে,এখন শুধুমাত্র ঘষা-মাজার কাজ চলছে। সব কিছুই ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্সুয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদটির শুভ উদ্বোধন করবেন্।
স্থানীয়দের দাবী তারা অনেক দিন ধরে দেখছেন মডেল মসজিদের কাজ চলছে। পুরো উপজেলায় এই মসজিদটিই সর্ব প্রথম সকল সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে। মসজিদটি এখন এলাকার মানুষের কাছে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মেসার্স জাকা উল্লাহ প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী জাকাউল্লাহ বলেন,জীবননগর মডেল মসজিদটি নয়নাভিরাম মসজিদ করতে কাজ করা হচ্ছে। আমি কাজটি পাওয়ার পর কাজের গুনগত মান ভাল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বাড়ীর পাশেই মসজিদটি নির্মান হচ্ছে। তাই আমি এ কাজে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে আমি বার বারই শ্রমিকদেরকে তদারকি করতে থাকি। কাজটিকে আমি ব্যবসায়িক ভাবে না নিয়ে ইবাদতের অংশ মনে কাজের গুনগত মান সর্বাত্মক ভাল করার চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস সারাদেশে যতগুলো মসজিদ নির্মান হচ্ছে তার মধ্যে আমাদের মসজিদটার কাজের মান সবচেয়ে ভাল হবে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারীর অনেক আগেই ইনশাল্লাহ নির্মান কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করব।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন,জীবননগর উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্য়ায়ক্রমে উদ্বোধন করছেন। জীবননগর উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বর্তমানে বাকী কাজ সমাপ্ত করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেশ জোরেসোরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারীতে উদ্বোধনের। উদ্বোধনের মাধ্যমে দৃষ্টি নন্দন মডেল মসজিদটি মুসল্লিদের নিয়মিত নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা দেয়া হবে ইনশাল্লাহ।