জীবননগর তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উথলী ৪ মনোহরপুরে ৮ কেডিকে ২ জন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি বিরোধী দলে নেই তৎপরতা

জীবননগর অফিস:-

 

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফশিল ঘোষনার পর পরই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী,মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা আর উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেলেও বিএনপি,জাতীয় পার্টিসহ অন্য সব দলে নিরবতা। এদিকে মঙ্গলবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থীদের নিকট দলীয় ভাবে মনোনয়ন পত্র গ্রহন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বাছাইকৃত তালিকায় উথলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উথলী ইউনিয়নে ৬ জন,মনোহরপুর ইউনিয়নে ৮ জন এবং কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম স্ব-স্ব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটিতে জমা দেয়ার পর তা জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচন কমিটিতে প্রেরন করা হয়েছে। উক্ত তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠানের জন্য ঘোষনা করা হবে।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী,কেডিকে ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় উক্ত তিনটি ইউনিযন পরিষদের নির্বাচনের জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য় করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ঘোষনার সাথে সাথে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। যাদের নাম নির্বাচনী মাঠে কখনও শোনা না গেলেও তারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নিকট চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নামের তালিকা জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে গত নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন তারা এবারও মনোননয়ন প্রত্যাশি হিসাবে প্রার্থী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন দাবী করেছেন।

উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার সাথে সাথে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতাকর্মি ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হলেও আলোচনার মাঠে নেই বিএনপি,জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের প্রার্থীরা। তবে ক্ষমতাসিন দলের নেতাকর্মিদের বিশ্বাস শেষমেষ বিএনপি জামায়াতের দলীয় প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামবেন।

আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে উথলী ইউনিয়নে গত নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন  করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হওয়া প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান,গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আফজালুর রহমান ধীরু,নতুন মুখ হিসাবে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল আহম্মদ প্রদীপ ও যুবলীগ নেতা লিম ফেরদোস এবং কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন গত নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী খায়রুল বাসার শিপলু ও একই পরিষদের বর্তমান মেম্বার ছব্দুল হোসেন। অন্যদিকে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান সুরুউদ্দিন,প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলতাব হোসেন,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার গোলাম রসুল,সাধারন সম্পাদক তরুন সমাজ সেবক আহসান হাবিব বকুল,বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী,গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী রাজা মিয়া,সাবেক ইউপি মেম্বার খলিল প্রধান ও শিক্ষানবীশ আইনজীবী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক আকিমুল ইসলামদের নাম উল্লেখযোগ্য। এরা সবাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন লাভ করতে আবেদন করেছেন।

তবে এসব ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের নাম এখনও দলীয় ভাবে শোনা না গেলেও উথলী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ,মনোহরপুর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা গত নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থী কামরুল ইসলাম এবং কেডিকে ইউনিয়নে গত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী রাজিবের নাম ভোটার ও দলের তৃর্ণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মিদের মুখে আলোচনার টেবিলে ওঠে এসেছে। তবে আওয়ামীলীগের বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থীরা কৌশল হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকবেন।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল লতিফ অমল বলেন,স্ব-স্ব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটির নিকট দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিরা তাদের সিভি জমা দেবেন। তারপর তা জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *