জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়ার যুবকেরা ঝুঁকেছে আধুনিক কৃষিতে

নাঈমুর রহমান খান:-

চুয়াডাঙ্গা জেলার অত্র জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়ার শিক্ষিত উদ্যমী যুব’রা ঝুকেছে আধুনিক উন্নতমানের ফল চাষে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে উন্নতমানের থাই পেয়ারা, ড্রাগন, বারি মাল্টা,চায়না কমলা,বিভিন্ন জাতের কুল, পেপে ও অন্যান্য ফল চাষ। সরেজমিনে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষিত যুব চাষির তথ্যসূত্রে সফলতা ও প্রতিবন্ধকতা জানা গেছে।  তন্মধ্যে আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের রাজধানী পাড়ার মোঃ মাহমুদুল ইসলাম দিনার, তিনি অত্র চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদে স্নাতক সম্মান শেষ করেছেন। বেকারত্ব কাটাতে বেছে নিয়েছেন ফল চাষ। তাদের বিঘা জমির উপর করেছেন থাই-৫ জাতের পেয়ারা বাগান তার মাঝে মাঝে রেখেছেন ২৫০ পিস বারি পয়সা মাল্টা, এছাড়াও তার রয়েছে ২ বিঘা জমির উপর ভূট্টা ও পেয়ারা গাছ।  তিন বছরের বাগান থেকে প্রায় দেড় দুই লক্ষ টাকা খরচ সহকারে অর্জন করেছেন। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, জাত ভালো না হওয়ায় আশানুরূপ সাফল্য পাইনি । পেয়ারার চাষের মাঝে মাঝে যে মাল্টা গাছ রয়েছে সেখান থেকে দারুণ আশাবাদী আমি, পেয়ারা গাছ তুলে দিয়ে মাল্টা বাগান করে পুরোপুরি ভাবে সাজাবো। আমার এই পেয়ারা বাগানে নিয়মিত যুব ছেলেরা কাজ করছে না তাদের আত্ম কর্মসংস্থানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি বিষমুক্ত ফল উৎপাদনের জন্য জৈব সার বেশি ব্যবহার করি যাতে পুষ্টির চাহিদা পুরণ হচ্ছে জনসাধারণের। নিয়মিত ফল ঢাকার আড়তে চলে যাই। মাল্টা নিয়ে আমি আশাবাদী, সবাইকে জাত চিনে চাষ করবার অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়াও আন্দুলবাড়ীয়ার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার কাকন মিয়া অনার্স ২ য় বর্ষে পড়ালেখা দর্শনা সরকারি কলেজ। পেয়ারা বাগান রয়েছে ৩ বিঘা জমির উপর, বাসার সাথে ১৫ কাঠার উপরে নতুন পেয়ারা বাগান তৈরির কাজ চলছে। পারিবারিক সবজির চাহিদা মেটাতে পেয়ারা বাগানের মাঝে মাঝে চাষ করেছে বিভিন্ন ধরণের সবজি তারমধ্য  বেগুন চারার সারি আছে ২০০ পিস পেপে ২০ পিস, আরও আছে পুইশাক ও পালংশাক। ২-৩ বছর বয়সী গোল্ডেন-৮ পেয়ারার চাষে ৩ বিঘার এ বাগানে চার লক্ষাধিক টাকার উপর লাভবান হয়েছে এ যুবক। ব্যপক সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়মিত নায্য মূল্যে ঢাকার আড়ৎদারদের কাছে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা করে বাজারজাত করছেন। তিনি জানান থাই-৩ ও থাই-৫ এর চেয়ে গোল্ডেন-৮ জাতের পেয়ারার দাম অনেকটাই বেশি। যে কারণে লাভ বেশি পাই। আর ধরনে এটা একটু কম হলেও স্বাদ ও মিষ্টতা অসাধারণ। এটা অত্যন্ত লাভজনক। এক বছর বয়সের প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় পেয়ারা থাকে। নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ আর সঠিক পরিচর্যার কারণে সাফল্য এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *