জীবননগর অফিস:-
আর মাত্র একদিন পরেই মেয়ের বিয়ে। তাইতো বর-কনে উভয় পরিবারে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। একদিন পরেই কন্যার বাড়ীতে ধুম ধাম আয়োজন আর সানাইয়ের সুর বেজে উঠবে। প্রতিবেশীরাও সানাইয়ের তালে তালে নেচে গেয়ে একাকার হবেন। অন্যদিকে বর নতুন সাজে বরযাত্রী নিয়ে যাবে মহাখুশিতে কনের বাড়ীতে। কিন্তু উভয় পরিবারের সে স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিয়ে কনে তার প্রেমিকের হাত ধরে আধারে পাড়ি জমিয়েছে অজানা ঠিকানায়। ঘটনাটি ঘটেছে জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামে।
জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান তার কন্যা মুক্তা খাতুনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে দিতে আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত,কেনাকাটাসহ সমস্ত আয়োজন শেষ করেছেন। আজ রোববার তার বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য ছিল। সব প্রস্তুতি শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় জীবননগর আলিয়া মাদ্রাসার একাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রী মুক্তা খাতুন। তার নিখোঁজের ঘটনায় মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় পরিবারের। তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোথাও তার হদিস মেলে না। এক পর্যায়ে জানতে পারেন মুক্তা তার প্রেমিক হৃদয় হোসেনের হাত ধরে পালিয়েছে। হৃদয় হোসেন একই গ্রামের হাফিজুর রহমান হাফি’র ছেলে।
পরিবারের দাবী মুক্তা খাতুনের বিয়ে ঠিক করার আগে তার সে বিয়ে আপত্তি আছে কি না সে ব্যাপারে মতামত নেয়ার পরই তার বিয়ে ঠিক করা হয়। কিন্তু উভয় পরিবারে যখন সব আয়োজন শেষের পথে শুধুমাত্র বাকী ছিল আনুষ্ঠানিকতা আর কবুল বলা। ঠিক সেই সময় প্রেমিকের হাত ধরে গোপনে প্রস্থান উভয় পরিবারকে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তার পরিবার মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তারপরও মেয়েকে উদ্ধার করতে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ মুক্তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।