নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের মানষিক প্রতিবন্দ্বী জসিম উদ্দিন(৩৫) বাড়ী থেকে দীর্ঘ চার মাস আগে নিখোঁজ হয়। এতদিনে পরিবারের সদস্যরা তাকে জীবিত সন্ধান পাওয়া না গেলেও বৃহস্পতিবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশ সনাক্ত করা হয়। পরিবারের পক্ষ লাশ গ্রহনের পর রাতেই তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার কোন তথ্য পরিবারের কাছে নেই।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের প্রান্তিক সবজি ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের ছেলে জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মানষিক বিকারগ্রস্থ হয়ে ভুগছিলেন। তাকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে দরিদ্র পিতামাতা নি:স্ব হয়ে পড়েন। কিন্তু তারপরও ছেলে জসিম উদ্দিনকে তারা সুস্থ্য করতে পারেনি। এক পর্যায়ে গত বছরের ৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ী থেকে স্বাভাবিক ভাবে বের হলেও আর ফিরে আসেনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে ছেলে ফিরে পাবার আশা ছেড়ে দেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ পরিবারের লোকজন তার লাশের সনাক্ত করেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
ফরিদপুর পুলিশ তার লাশ গত চার দিন আগে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখেন। কিন্তু তার মৃত্যুর রহস্য পুলিশ এখনও উদঘাটন করতে পারিনি বলে নিহতের পরিবার সুত্র জানিয়েছেন।
নিহতের পিতা আবুল কাশেম বলেন,ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আমার উক্ত ছেলের লাশ আছে জানতে পেরে আমরা সেখানে গিয়ে আমার ছেলের জসিম উদ্দিনের লাশ সনাক্ত করি। থানা পুলিশ আমাদেরকে জানিয়েছেন তার লাশ গত চারদিন আগে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু মৃত্যুর রহস্য কি তারা আমাদেরকে বলতে পারিনি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,জসিম উদ্দিন নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্তে আমাদের থানায় একটি সাধারন ডাইরি করা হয়েছিল। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তার লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং দাফন কাফন করেন। মৃত্যু রহস্য জানা যায়নি।