বিশেষ প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গা জেলার অধিকাংশ ইটভাটার নেই কোনো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, প্রায় ৯০% ইটভাটা প্রকাশ্যে আইনকে অমান্য করে প্রকাশ্যে পোড়াচ্ছেন গাছের কাঠ। ইটভাটা নীতিমালা থোড়াই কেয়ার করছেন সবগুলো ইটভাটা, প্রকাশ্যে কৃষিজমির মাটিকেটে অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট করে, সবুজ প্রকৃতি ধ্বংশ করে কাঠ পুড়িয়ে দিনের পর দিন চলছে অবৈধ ইটভাটা গুলো।
প্রকাশ্যে এতো অনিয়ম করেও কিভাবে চলছে এই সকল ইটভাটা? অনুসন্ধানে প্রমান মেলে চুয়াডাঙ্গা জেলার কথিত ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এই অরাজকতা।
নয় মাইল বাজারে তিনটি ভাটা রয়েছে এর মধ্যে একতা ইটভাটার মালিকের নাম কাদের খোজ নিয়ে যানা যায় তার কোনো কাগজপত্রই ঠিক নাই,তার পাশেই রয়েছে জনতা ইটভাটা তাদেরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এতো অনিয়ম করেও কিভাবে এই সকল অবৈধ ইটভাটা প্রকাশ্যে চলছে তা প্রশাসনই ভালো বলতে পারবেন।
আইন থেকেও যদি আইনের প্রয়োগ না হয় তবে বিষয়টি হাস্যকর ও প্রশ্নবিদ্ধ হয় প্রশাসন।
খোজ নিয়ে জানা যায় এই কথিত সাধারণ সম্পাদক মোতালেব পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসহারা দিয়ে থাকেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার যতো ইটভাটা রয়েছে সবার কাছ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা উঠিয়ে সেই টাকা ঘুষ হিসাবে দেওয়া হয়েছে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তাদের ও স্থানীয় হর্তাকর্তাদের।
এছাড়াও কোনো ইট ভাটায় সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কথিত সাধারণ সম্পাদক মোতালেব সেই সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেন এবং তাদেরকে টাকা পয়সা দিয়ে থাকেন। এরকম বেশ কিছু ফোন কল রেকর্ড সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌছেছে,যেখানে প্রমান মিলেছে মোতালেব সাংবাদিকদের কোনো ঝামেলা করতে মানা করছে এবং টাকা পয়সা কথা বলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করছেন।
প্রকাশ্যে শতো শতো মন গাছের খড়ি পোড়াচ্ছ, অবৈধ ভাবে মাটি কাটছে লাইসেন্স বিহীন ভাবে ইট পোড়াচ্ছেন,পরিবেশের ছাড় পত্র নেই তবুও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব দর্শক। আর সাধারণ জনগণ অবশ্যই জানেন কি কারনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন নিরব। অবৈধ ইটভাটার পৃষ্ঠপোষকতা যারা করছেন রাতারাতি তারা অবৈধ কালো টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছেন আর সেই টাকায় চোখে কাঠের চশমা পরে অন্ধ সেজে বসে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা ,আলমডাঙ্গা,দামুড়হুদা,জীবননগর, সদর উপজেলা সব স্থানেই চলছে অবাধে সবুজ বৃক্ষ নিধন করে খড়ি পোড়ানো। আর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকেরাও নিয়মিত মাসহারা নিচ্ছেন এই সকল অবৈধ ইটভাটা থেকে।
এভাবে চলতে থাকলে আগামী কিছু বছরের মধ্যেই পরিবেশের বিপর্যয় নামবে, কৃষিজমি, রাস্তা-ঘাট পরিবেশ ধ্বংস হলেও যেনো প্রশাসনের কিছুই যায় আসে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বসাধারণ জনগণের দাবি অনতিবিলম্বে নয়মাইল বাজারের কাদেরের অবৈধ ইটভাটা সহ অনতিবিলম্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত করে উচ্ছেদ করা হোক অবৈধ সকল ইটভাটা। সেই সাথে অবৈধ ইট ভাটার রক্ষার কথিত মালিক সমিতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হোক।