জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর পরই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নৌকা প্রতিক পেতে অনেকটা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন।
উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের পর পর চার বার নির্বাচিত ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মর্তুজার ছোট ছেলে গোলাম মোক্তাদির শাওন নৌকা প্রতিক প্রত্যাশি। বাবার মত তাকেও নির্বাচিত করতে মিনাজপুর গ্রামবাসী একাট্টা হয়ে মাঠে নামতে চান। শাওনের প্রত্যাশা তিনি নৌকা প্রতিক পেলে নিশ্চিত বিজয় লাভ করবেন। প্রার্থীদের আলোচনায় শাওনের নাম উঠেছে এসেছে বেশ জোরসোরে। বয়সে তরুন এবং পিতার ঐতিহ্যের কারণে তিনি প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যেই আলোচনার শীর্ষে অবস্থান করছেন।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে গোলাম মোক্তাদির শাওনের জন্ম। শাওনের পিতা গোলাম মর্তুজা বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের টানা চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে এলাকাবাসীর মধ্যে তার অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ় ও ক্লিন ইমেজের। তিনি বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনেরও সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর গোলাম মোক্তাদির শাওন সেই যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসাবে নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারবেন বলে ইউনিয়নবাসীর বিশ্বাস। শাওন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষে কিছুদিন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপুর্ণ চাকুরি করলেও বর্তমানে এলাকায় ব্যবসা শুরু করেছেন।
তিনি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি বর্তমানে বাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি এলাকার মসজিদ-মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দুই কন্যা সন্তানের জনক শাওন একজন ভাল ক্রীড়া সংগঠক হিসাবেও এলাকায় পরিচিত। আসন্ন বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার চেয়ারম্যান প্রার্থীতার ঘোষনা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ভোটারদের মধ্যে এক ধরণের সম্ভবনা আর উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। সকল প্রার্থীদের আলোচনায় তিনি শীর্ষে অবস্থান করছেন।
সম্প্রতি মিনাজপুর গ্রামবাসী তার পক্ষে গ্রামে একটি মতবিনিময় সভা করে নির্বাচনী মাঠে অতীতে তার পিতার মত করে তাকেও নির্বাচিত করতে একাত্মা ঘোষনা করেন। সে ক্ষেত্রে তারা দলমত নির্বিশেষে শাওনকে নির্বাচিত করতে শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকারও অঙ্গিকার করেছেন। একারণেই শাওনকে নিয়ে ইউনিয়নবাসী নতুন করে ভাবতে শুরু করায় ভোটারদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোটারদের দাবী শাওন একজন ক্লিন ইমেজের উদীয়মান তরুন সমাজসেবক। তাকে নিয়ে এলাকায় কোন আপত্তিকর মন্তব্য নেই। তাকে নৌকা প্রতিক দেয়া হলে খুব সহজেই বিজয় সম্ভব বলে ভোটারদের দাবী। তিনি তরুন প্রার্থী এবং গোলাম মর্তুজার সন্তান হিসাবে এখনই ভোটারদের মাঝে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।
গোলাম মোক্তাদির শাওন বলেন,আমার বাবা গোলাম মর্তুজা চেয়ারম্যান হিসাবে বৃহত্তম বাঁকা ইউনিয়নবাসীকে তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে সেবা দিয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। আমরা সন্তান হিসাবে তার নিকট থেকে আদর্শ আর মানুষকে কি ভাবে সেবা করতে হয় তা শিখেছি। তিনি এখনও মানুষের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন। আমি তারই সন্তান হিসাবে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করতে প্রত্যাশি এবং চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হলে বাবার মতই ইউনিয়নবাসীর সেবাই নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি। আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নয়। দলীয় প্রতিক যিনি পাবেন,আমি তারপক্ষেই কাজ করব ইনশাল্লাহ।