চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের মানবিক সাড়া

জাহিদ হাসান জিহাদ স্টাফ রিপোর্টার :

বাবা-মায়ের ওপর মান অভিমান করে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে তিন স্কুল ছাত্রী বাড়ী থেকে বের হয়। তারা বাস যোগে বগুড়া থেকে কুষ্টিয়া। তারপর চুয়াডাঙ্গায় চলে যায়। তারা রোববার সকাল দশটার দিকে বাড়ী থেকে রওনা হয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ তাদেরকে রাতের বেলা চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে উদ্ধার করেন।

১। মোছাঃ হিরামনি(১৩), পিতা- মোঃ হালিম, ২। মোছাঃ মরিয়ম আক্তার(১২), পিতা- কালাম পাশা দুলাল এবং ৩। মোছাঃ রুপা খাতুন(১৩), পিতা- মোঃ রনজু আহমেদ, সর্ব সাং- পাকুরিয়াপাড়া, থানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়া তাদের বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে গত ১২/০২/২০২৩ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় সড়ক পথে বাসযোগে বগুড়া হতে রওয়ানা করে কুষ্টিয়া হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলে আসে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন একাডেমী মোড়ে রাত আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকায় শিক্ষার্থী কিশোরী তিন জন অবস্থানকালে সদর থানার ডিউটিরত কিলো-১১ এর অফিসার ও ফোর্সের সন্দেহ হলে অফিসার ইনচার্জের পরামর্শ মতে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়ে আসে। অফিসার ইনচার্জ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গাকে অবহিত করে তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক কিশোরীকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সত্য জানার পরে তাদের পরিবারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে থানায় আসার জন্য বলেন। বগুড়া থেকে রওয়ানা করে চুয়াডাঙ্গা আসতে সময় সাপেক্ষ বিধায় রাতে কিশোরী তিনজনকে বাংলাদেশের সকল থানার ন্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে তৈরি ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ অফিসারের মাধ্যমে নারী পুলিশ সদস্যদের সাথে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি, তাদেরকে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ইতোমধ্যে, ১২/০২/২০২৩ তারিখ দিবাগত রাতে ১৩/০২/২০২৩ তারিখ আনুমানিক ভোর ০৪:৩০ ঘটিকায় কিশোরী তিনজনের পরিবারের লোকজন মাইক্রোবাস যোগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে পৌঁছান। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে সম্পর্কের সত্যতা যাচাই-বাছাই করে অদ্য ১৩/০২/২০২৩ তারিখ সকালে কিশোরী তিনজনকে স্ব স্ব কিশোরীর পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে জিম্মায় প্রদান করা হয়। বিশেষ অনুরোধ: সকল বাবা-মায়ের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা আপনাদের আদরের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *