জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হতদরিদ্র যুবক খায়রুল ইসলাম শ্বশুর বাড়ী ঘর জামাই হিসাবে থাকার পর স্ত্রী-শ্বশুর তার সহায়-সম্বল হাতিয়ে নিয়ে মারধর করে তাঁড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অসহায় যুবক খায়রুল এখন সমাজপতি ও আইনের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন।
জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের আলম হোসেন মন্ডলের হতদরিদ্র ছেলে খায়রুল ইসলামের(২৪) দর্শনা রামনগর গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে হাসি খাতুনের(২০) গত ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে কুলসুম(৪) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিকে স্ত্রীর বেপরোয়া আচরনের এক পর্যায়ে যুবক খায়রুল ইসলাম বাধ্য হয় শ্বশুর বাড়ীতে ঘর জামাই হিসাবে থাকতে। স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে দু’বছর ধরে শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করা কালে স্বামী খায়রুল স্ত্রী-শ্বশুরদের নানা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হন।
নির্যাতনের শিকার খায়রুল ইসলাম বলেন,আমি স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে থাকা কালে গত দু’বছর ধরে স্ত্রী-শ্বশুরের অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তাদের লাঞ্চনা-বঞ্চনার শিকার হওয়ার এক পর্যায়ে আমার পিতামাতার বাড়ীতে বসবাস করার প্রস্তাব দিই। এতে আমার স্ত্রী,শ্বশুর,শ্বাশুড়ী আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার দু’বছর লালন-পালন করা দু’টি এড়ে গরু তারা বিক্রি করে হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনায় আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টার দিকে মারধর করে তাঁড়িয়ে দেয়। আমি সেই থেকে আমি জীবননগর গঙ্গাদাসপুর গ্রামে আমার পিতামাতার বাড়ীতে রয়েছি। আমার মেয়েকেও তারা কেড়ে নিয়েছে। তারা এখন আমাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকী দিচ্ছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল কুদ্দুস বলেন,খায়রুল ইসলাম জীবনে যা আয় করেছে সব কিছুই তার শ্বশুর-স্ত্রী হাতিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই নির্মম।
এ ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল কবির বলেন,ঘটনার ব্যাপারে উভয়পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।