জীবননগর অফিস:-
জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জিয়াউর রহমান দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা, চেতনায় পাকিস্তানি ছিলেন। তাই দালাল আইন বাতিল করে সাড়ে ১১ হাজার রাজাকারকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে গেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার সময় দেশ মাতৃকা ও বিশ্ব জননীর সকল সন্তানদের মঙ্গল কামনায় জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের হালদার পাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অখণ্ড শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সব ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একটি উন্নত ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের সেই স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল। পৃথিবীর কোনও দেশে স্বাধীনতার পরে যুদ্ধাপরাধীর দলের সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনীতি করে যাচ্ছে। এই সুযোগ কারা করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের সমাজকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে গেছেন। এক পক্ষে জাতির পিতার হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ, আরেক দিকে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতারবিরোধী পক্ষ।জামায়াতে ইসলামী একাত্তর সালে রাজাকার ছিল, এখনও রাজাকার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এখনও এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ২০১৩ সালে তাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কাদের মোল্লা, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসিতে দেশের মানুষ খুশি হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছিল। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আহমদ বলেছিলেন, কাদের মোল্লা, নিজামী, মুজাহিদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন।মতিউর রহমান নিজামীকে বেসামরিক সর্বোচ্চ নেসার-ই পাকিস্তান দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা পাকিস্তানের পক্ষের রাজনীতি করে। এ দেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বিএনপি সেই সময়ে আন্দোলন শুরু করেছে। তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীলনকশা করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যতদিন থাকবে, ততদিন আলোকিত থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আর কোনও বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার কুন্ডু, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহম্মেদ প্রদীপ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হায়দার আলী প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।