জীবননগর অফিস:-
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে আদালতে বিচারাধীন বিরোধপুর্ণ জমি দখল করতে প্রতিপক্ষরা ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালিয়ে বাড়ীর পাকা প্রাচীর ও গেট ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা ও বাড়ীর মহিলাদেরকে মারপিট করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ঘাটপাড়ার আলমগীর হোসেনের স্ত্রী খালেদা খাতুন বলেন,আমার বাবা মজিবর রহমানের ক্রয়কৃত বসতভিটার জমি নিয়ে আমাদের গ্রামের জহির ফকিরের সাথে বিরোধ চলছে। বিরোধপুর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। মামলায় আমাদের পক্ষে রায়ও হয়েছে। আপিল মামলায় বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আমার বাবা চরমোনাই যাওয়ার কারণে মামলা দিন ঘুরে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহির ফকিরের ছেলে মিন্টু,ঝন্টু,ভুলু ও মিন্টুর স্ত্রী রোকসানা বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ীতে থাকা আমার শাহারবানুর ওপর হামলা চালিয়ে বাড়ীর পাকা প্রাচীর,গেট ও বাড়ীর জানালা-দরজা ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে এবং জমি তাদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। আমি তাদেদরকে বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে। আমার মায়ের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাড়ীর প্রাচীর,গেট ও জানালা-দরজা ভাংচুরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঝন্টু ও রোকসানা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান। তাদের দাবী মজিবর বাড়ীতে না থাকার সুযোগে তারা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। যা সভ্য জগতে অমানবিক কাজ।
সীমান্তি ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল গনি বলেন,ঘটনার কথা আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে দু’পক্ষের কেউ আমার কাছে আসিনি। ঘটনার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হয়েছে বলেও শুনেছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওযার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে অফিসার ফোর্স যায় এবং পরিস্থিতিতে শান্ত করেন। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।