জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহর থেকে দু’স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে এক নববধুর উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল ছাত্রীদের পরিবারের শঙ্কা তাদেরকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধুর স্বামী সুমন আলী, পিতা আবুল বাসার,শ্বাশুড়ী রওশনারা ও খালা খোদে বেগম থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
জীবননগর পৌর শহরের আশতলাপাড়ার আব্দুর রহমান বলেন,আমার নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া আমার কন্যা রিংকি খাতুন ও প্রতিবেশী ফারুক হোসেনের কন্যা রিয়া খাতুন আমার প্রতিবেশী সুমন আলীর নববধু কবিতা খাতুনের(১৮) নিকট অতিসম্প্রতি কোরান পড়া শিখতে যায়। নিয়মিত কোরান শিক্ষা করার যাওয়ার এক ফাঁকে হঠাৎ রোববার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে নববধু কবিতা আমার উক্ত কন্যা ও সহপাঠীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। আমরা তাদেরকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করি। কিন্তু কোথাও কোন হদিস পাই না। কবিতা খাতুনকে গত সাত মাস আগে আশতলাপাড়ার সুমন আলীর সাথে বিয়ে হয়। ঘটনার শিকার ছাত্রী রিংকি ও রিয়া জীবননগর সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
নববধু কবিতার বাবা-মায়ের বাড়ী মহেশফুর সীমান্ত এলাকায় এবং তার খালা খোদে বেগম ভারতের বোম্বে মহিলাদেরকে পাঠায়। আমাদের বিশ্বাস গৃহবধু কবিতা খাতুন,তার খালা খোদে এবং তার বাবা-মায়ের পরস্পর যোগসাজসে আমার মেয়ে ও তার সহপাঠীকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত স্থানে কৌশলে আটকিয়ে রেখেছে।
জীবননগর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম বলেন,ঘটনার ব্যাপারটি আমি শুনেছি। তবে বিস্তারিত না জেনে আসল ঘটনা কি তা বলা সম্ভব নয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নববধুর স্বামী,শ্বাশুড়ী,বাবা ও খালাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য উদঘাটন হবে বলে আমার বিশ্বাস।