জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন খানের ছেলে নয়নের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল ও তার কর্মি সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি সোমবার সন্ধ্যায় ধোপাখালী বেপারীপাড়ায় সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় হামলার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল বাদী হয়ে থানায় ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে ধোপাখালী বেপারীপাড়া এলাকায় কর্মি সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ করা কালে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন খানের ছেলে নয়নের নেতৃত্বে শাকিল, আকিব,ওয়াকিল,লাদেন ও ইমনসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন দেশীয় তৈরী অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমাদের হামলা চালিয়ে আমাকে,আমার সাথে থাকা জালাল শেখ, মোক্তার হোসেন বাবশারীরিক ভাবে জখম হয়। এ সময় তারা আমাদেরটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। জীবননগর থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছে আমাদেরকে রক্ষা করেন। তারা গত শুক্রবারও একই ভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
নয়নের নেতৃত্বে প্রতিদিনই এলাকার সাধারণ ভোটার ও কর্মি সমর্থকদেরকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে আমি যাতে নির্বাচনি মাঠে না যাই সে জন্য হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নয়নের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করে মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত আকিব বলেন,ঘটনার সময় আমাদের শোডাউন এবং কামরুলের শোডাউন মুখোমুখি হয়। তবে কোন হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের লোকজন হিসাবে আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে অফিসার ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে হামলা হয়েছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই। নির্বাচন আসলে যেমন হয়,তেমন ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।