জীবননগর(চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মুক্তিযোদ্ধা গ্রামীন মেলার নামে বিতর্কিত ও অনুমোদনহীন লটারি টিকিট পুড়িয়ে দিলেন উপজেলা প্রশাসন । সোমবার সন্ধ্যার সময় লটারি টিকিট বিক্রয় ও কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রোকুনুজ্জামান। এতে উপজেলা প্রশাসনের উপর খুশি সাধারণ মানুষ।
জানা যায়,জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের আমতলায় মুক্তিযোদ্ধা গ্রামীন মেলার নামে অনুমোদনহীন ভাবে লটারি টিকিট শহর থেকে গ্রাম সকল স্থানে ফেরি বিক্রি করছে মেলা কর্তৃপক্ষ। এ টিকিট বিক্রির অনুমোদন না থাকায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান সোমবার সন্ধ্যার দিকে পৌর শহরের বাস স্টান্ডে একটি ভ্যান আটকিয়ে বিক্রির জন্য কয়েক হাজার টিকিট ও প্রচারের ব্যনার পুড়িয়ে দেন।এবং ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে বিক্রয় প্রতিনিধিকে সর্তক মূলক ২০০টাকা জরিমান করেন। পরবর্তীতে মেলায় টিকিটের কর্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান জানান, ‘বিষয়টি জানার সাথে সাথে এলাকার জনসাধারণের কল্যাণে দ্রুত টিকিট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এবং কয়েক হাজার নতুন টিকেট এবং ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু লটারি খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি, তাই কোন খেলা হবে না। সর্তক মূলক বিক্রেতাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।’ মেলায় সার্কাসে নিত্য পরিবেশনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, যদি অশ্লীল নিত্য পরিবেশন না করা হয় তাহলে এটা চলতে কোনো বাধা নেই। অশ্লীল কিছু করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।