জীবননগরে ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনায় নৌকার কর্মিদের হামলা-বাঁধার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়ালেও প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকী আর প্রচার প্রচারণায় বাঁধা বিপত্তির শিকার হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে মনোহরপুর ও হাসাদহ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নৌকা প্রতিকের কর্মি-সমর্থকদের দ্বারা নানা ভাবে হামলা ও বাঁধার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় থানা ও নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল বলেন,আমার নির্বাচনী প্রতিক আনারস। প্রতিক বরাদ্দের পর আমরা জোরেসোরে গণসংযোগ শুরু করি। কিন্তু নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন খানের ছেলে নয়নের নেতৃত্বে আমার কর্মি সমর্থকদের এবং প্রচার গাড়ীকে বাঁধাগ্রস্থ করে আসছে। আমি কর্মি সমর্থকদের নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ধোপাখালী বেপারীপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করা কালে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন খানের ছেলে নয়নের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাকেসহ চারজনকে আহত করে এবং তিনটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও পরের দিন আবারও আমার প্রচার গাড়ীকে বাঁধা দেয়া হয়। নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর কর্মি সমর্থকদের এমন আচরনের কারণে আমাদের প্রচার-প্রচারনা ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে।

এদিকে হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল আলম বলেন,আমি আসন্ন নির্বাচনে আনারস প্রতিকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা কররছি। কিন্তু নৌকা প্রতিকের কর্মি সমর্থকেরা নির্বাচন শুরুর পর থেকেই নানা ভাবে আমাদের নেতাকর্মি-সমর্থক ও ভোটারদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে চাকলা মোড়ে নৌকা প্রতিকের সমর্থক সন্ত্রাসী সাখাওয়াতের নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত সশস্ত্র হয়ে আমার প্রচার গাড়ী থামিয়ে গাড়ীটি ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে এবং গাড়ীর চালক রাজিবুল ও কর্মি শামীম হোসেন বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক ভাবে জখম করে।জখমী রাজিবুল ও শামীম হোসেন বলেন,ঘটনার সময় গ্রামের মহিলার ছুটে এসে আমাদেরকে না ঠেকালে তারা আমাকে মেরে ফেলতো।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল আলম আরো বলেন,সাখাওয়াত হোসেন একজন পুলিশের তালিকাভুক্ত চিহিৃত সন্ত্রাসী। তার এমন আচরনে আমরা আতঙ্কিত ও শঙ্কিত। ঘটনার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েছিলাম। ওসি সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করেছেন এমন ঘটনা আর ঘটবে না। একই ইউনিয়নের চশমা প্রতিকের অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন,আমরা নৌকা প্রতিকের কর্মি সমর্থকদের দ্বারা প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকীর শিকার হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশন  ও প্রশাসনের নিরপেক্ষা ভুমিকা আশা করছি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,নির্বাচনী মাঠে আমাদের পুলিশ তৎপর আছে। এর মধ্যে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও আমরা দ্রুতই সে সব স্থানে একশনে গিয়েছি। নির্বাচন আসলেই দু’একটি ঘটনা ঘটেই থাকে। তবে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা আমরা প্রস্তুত আছি।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেজর আহম্মেদ বলেন,এ ধরনের লিখিত অভিযোগ আমরা পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলছি এবং ২-৩ দিনের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা পুলিশকে বলেছি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *