জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনী প্রচারে হামলার বিচার, সুষ্ঠু ভোট ও নিজেদের নিরাপত্তা সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইসরাইল হুসাইন। বৃহস্পতিবার বিকালে জীবননগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসরাইল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল ইসলাম ও কর্মীরা প্রথম থেকে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তার নির্বাচনী প্রচারের মাইকের মাথা খুলে নিয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী সাগর আলী ও আলামীন হোসেনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন তাঁর এবং ছেলে নাহিদের ওপর হাসাদাহ বাজারে হামলা করে। এতে দুজনের মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল খালেক বলেন, গত বুধবার দুই প্রার্থীর লোকজন মুখোমুখি হয়েছিল। এ সময় তাদের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
ওসির বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাইল বলেন, আমাদের সঙ্গে কারও মুখোমুখি হয়নি। আমাদের ওপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা করা হয়েছে। পরে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, আমার কোনো কর্মী ইসরাইলের ওপর হামলা করেনি। বরং তারা আমার এক কর্মীর ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মাজেদুর রহমান, ইসরাইল হোসেনের ছেলে নাহিদ।