চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাড়ান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে রায়পুর ইউপি নির্বাচনে আ.লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে অংশ নেয়ার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাড়ান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী চাকরির বিধি লঙ্ঘন করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাহাজ্জত হোসেন মির্জার পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট কাজে অংশ নেয়াসহ অন্যান্য প্রার্থীর কর্মীদের নির্বাচন না করতে হুমকি ও আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে।

চুয়াডাঙ্গার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শাহ্ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রির্টানিং অফিসার বরাবর এক লিখিত অভিযোগে জানান যে, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে অংশ গ্রহণ করতে চাইলেও আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তাহাজ্জত হোসেন মির্জার অনুসারী কিছু দুুর্বৃত্ত ভোট কাজে অংশ নিতে আমিসহ আমার কর্মীদের বাঁধা সৃষ্টি করছে। এদিকে বাড়ান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মশিয়ার রহমান সরকারী চাকরির বিধি-বিধান ও নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে বিদ্যালয়ের কাজ বাদ দিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ এবং আমাদের কর্মীদের নির্বাচন কাজে অংশ না নেয়ার জন্য হুমকি ও আক্রমণ করছে। ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে শিক্ষক মশিয়ার রহমান বলছে, কেউ নৌকা প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে তাদের হাত-পা ভেঙ্গে এলাকা ছাড়া করা হবে। একজন শিক্ষকের এমন আচরণে এলাকার সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ওই শিক্ষক এ ধরনের জঘন্য কাজে সুষ্টু নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে কাজ করছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষক মশিয়ার রহমান বলেন, ‘আমি নৌকা প্রতীকে পক্ষে নির্বাচন কাজে অংশগ্রহণ করছি এটা ঠিক, তবে অন্যান্য প্রার্থীর কর্মীদের হুমকি, এলাকার ভোটারদের ভোট না দিলে হাত-পা ভেঙ্গে এলাকা ছাড়ার হুমকি আমি দিইনি। রির্টানিং অফিসারের কাছে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারী বিধি লঙ্ঘনের যে শাস্তি হয় সেটা আমাকে মেনে নিতেই হবে। এর বেশী কি বলবো’।

সরকারী চাকরির বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে বিদ্যালয়ের কাজ বাদ দিয়ে বাড়ান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মশিয়ার রহমান নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণার কাজ করে বেড়াচ্ছে এবং অন্যান্য প্রার্থীর কর্মীদের নির্বাচন কাজে অংশ নিতে বাঁধা সৃষ্টি করছে এ ধরনে একটি অভিযোগ জীবননগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং অফিসারের কাছে জমা পড়েছে- এ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন বলেন, এটা আমি এখনও হাতে পায়নি। তবে একজন সরকারী চাকরিজীবী কারর পক্ষে ভোট কাজে অংশ নিতে পারবেনা। এটা সরকারি চাকরির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিযোগ পত্রটি হাতে পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার কামরুল হাসান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

#

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *