জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় দু’ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত দু’ব্যক্তির মধ্যে পৌর এলাকার গোপালনগরের পান ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান(৫০) শুক্রবার সকালে এবং সুটিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ বিশ্বাস(৮৩) বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে আত্মহত্যা করেন। নিহত ব্যক্তিরা নানা রোগে শোকে আক্রান্ত হওয়ার এক পর্যায়ে মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের দাবী। নিহতদের ব্যাপারে পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়া গ্রামের শাহাজুল বিশ্বাস বলেন আমার বাবা আব্দুল মজিদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। আমরা তাকে বিভিন্ন চিকিৎসকের নিকট নিয়ে চিকিৎসা করিয়েও তাকে পুরোপুরি সুস্থ্য করা যায়নি। এই অবস্থায় আমার বাবা বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার রাত তিনটার দিকে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা বিষয়টি টের পেয়ে লাশ উদ্ধার করি।
এদিকে নিহত আব্দুল হান্নান গোপালনগর গ্রামের মৃত ইসাহক আলী ছেলে। তিনি জীবননগর বাজারের একজন দীর্ঘদিনের পান ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। তার পরিবারের দাবী আব্দুল হান্নান দীর্ঘদিন ধরে কানের রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অন্যদিকে অতিসম্প্রতি ব্যবসায়িক লেনদেন এর এক পর্যায়ে তিনি মোটা অংকের ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন। ফলে তিনি মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি তার নিজ বাড়ীর শয়ন কক্ষে শুয়েছিলেন। সকলের অজান্তে শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,নিহতরা রোগে শোকে আক্রান্ত ও মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় আত্মহত্যা করে। তাদের মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় এবং পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আমার উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে লাশ বিনা ময়না তদন্তে দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দু’টি ঘটনায় থানায় পৃর্থক দু’টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।