জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা পিয়ারাতলা গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মুজিবুর রহমানের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে দিপা খাতুন(২৮) নিজ কক্ষে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার লাশ উদ্ধার করেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সুত্র জানান,,দিপা ঢাকার একটি বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী। কিন্তু তিনি করোনাকালীন সময়ে মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে দিপা তাদের পিয়ারাতলাস্থ্ বাড়ীতে অবস্থান করে আসছিল। সম্প্রতি দিপা মানসিক ভাবে দু:শ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং পরিবারের কারো সাথে তেমন একটা মেলামেশা করতে যেতো না। তিনি সময় সময় নিজ কক্ষে একাকী থাকতে পছন্দ করতেন। এ অবস্থায় রোববার সকালে তার মা ঘুম থেকে ডাকলে তার কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় সে তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে পড়ে। এসময় তারা ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দিপার লাশ উদ্ধার করেন।
দিপার পিতা মুজিবুর রহমান বলেন,আমার মেয়ে সম্প্রতি অন্য মনস্ক হয়ে পড়ে। আমরা তাকে মানসিক শক্তি সৃষ্টি করতে তাকে সব ধরনের সাহস জুগিয়েছি। মেয়ে একটু জেদিও ছিল। আমরা অভিভাবক হিসাবে তাকে সংযত করেছি। সে একাকী থাকতে বেশী পছন্দ করতো। তার কক্ষে তার মত করেই থাকতো। কিন্তু কেন যেন আত্মহত্যা করল তা আমাদের বুঝে আসছে না। গত কয়েকদিন ধরে মনমরা হয়ে থাকতো। কারো সাথে তেমন একটা কথাবার্তা বলতো না।
জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,প্রাথমিক ভাবে মেয়েটির গলায় ফাঁস দেয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। তারপরও লাশটি উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।