জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়ায় ঈদের চাঁদ দেখার পর ব্যাপক ভাবে আতশবাজি করে এলাকায় জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার ঘটনায় প্রতিবাদী তিন ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে টাকা পয়সা লুটের অভিযোগ উঠেছে। জখমীদের চিকিৎসা শেষে ঘটনার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বাজারপাড়ার মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে শফিকুল ইসলাম(৫০) বলেন,আমি ও আমার প্রতিবেশী শুকুর আলী এবং সবুজ হোসেন যৌথ ভাবে পেয়ারার ব্যবসা করি। আমরা ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা রাতে আন্দুলবাড়ীয়া দরগাহপাড়া চৌরাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে শ্রমিকদের টাকা দেয়ার জন্য বসে ছিলাম। ওই সময় ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে ব্যাপক ভাবে আতশবাজি শুরু হয়। এ সময় আমি প্রতিবাদ করায় দরগাপাড়ার নায়েব আলী তার ছেলে শামীম,মৃত নুর নেনু মন্ডলের ছেলে আমজাদ হোসেন,ইন্তাজ, আমজাদ হোসেনের ছেলে সাকিম হোসেন,জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে সুজন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে। এই সময় আমার সাথে থাকা শুকুর আলী ও সবুজ হোসেন তাদেরকে বাঁধা দিলে শুকুর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাড় ভাঙ্গা জখম করে এবং সবুজের পায়ে কোপ দিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। এই সময় তারা আমাদের নিকট থাকা ব্যবসায়িক ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য নুর ইসলাম খোকা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিন্ত করে বলেন,ঘটনার পর জখমীরা আমার নিকট আসলেও প্রতিপক্ষ আমার নিকট না আসায় ঘটনা নিয়ে বসে স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। ফলে জখমীরা থানায় মামলা দিয়েছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন,ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।