মসলেম উদ্দিন,জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহরের হাইস্কুলপাড়ার বাসিন্দা ও জীবননগর বাজারের তরুন ব্যবসায়ী ইয়ান সু-স্টোরের মালিক আবু সাঈদের (২৭) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার জীবননগর বাসস্টান্ড চত্বরে ’জীবননগরবাসী’ ব্যানারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন বক্তারা বলেন, আবু সাঈদ ৫ দিন নিখোঁজ ছিল। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে তেমন কোনো ভূমিকা নেয়নি। এর মধ্যে আবু সাঈদের এবং একটি ইন্টারনেট (আইপি) নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোন করেন, ১৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ পর্যন্ত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। বক্তরা এ সময় যারা অপরাধী না তাদের হয়রানি না করার জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান।
জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই যারা দোষী তারা শাস্তি পাক। আমরা চাই না কোনো মায়ের কোল আর খালি হোক। এ হত্যার বিচার না হলে অপরাধীরা আরও সাহস পাবে। আমরা চাই দ্রুত হত্যার রহস্য উদ্ঘাতন হোক। আমরা দোষীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’ নিহত আবু সাইদের পিতা রইস উদ্দিনের আবেগঘন বক্তব্যে মানববন্ধনে উপস্থিত সকলেই আবেগ আপ্লুত ও নির্বাক হয়ে পড়েন।
মানববন্ধনে বক্তারা জীবনননগর পৌর এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় পৌর মেয়র বলেন, ‘জীবননগর পৌর এলাকা আগে সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল। তবে আমি ক্ষমতা পাওয়ার এক মাস আগে সব সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়েছিল। আমি জানি না কী কারণে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়েছিল? এ সময় মেয়র তিন মাসের মধ্যে জীবনননগর পৌর এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ঘোষণা দেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও অংশ নেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জীবননগর বাজার সমিতির সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দীন, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল, জীবননগর বার্তা সম্পাদক শামসুল আলম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মাজেদুর রহমান লিটন।