জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা কৃষ্ণপুর গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের নাজমা বেগম(৩৮) নামের এক গৃহবধু পারবারিক কলহের জের ধরে বিষপান(ঘাস পোড়া কীটনাশক) করে অসুস্থ হওয়ার ১০ দিনের মাথায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে গ্রামে নানামুখি গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক ও প্রতিবেশী সুত্র জানায়,জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের খাসমাঠপাড়ার ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী নাজমা বেগমের(৩৮) সাথে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে প্রায় বিবাদে জড়িয়ে পড়তো। একই ভাবে তাদের মধ্যে ঈদের পরের দিন ২২ এপ্রিল তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। গৃহবধুর স্বামী ইসমাইল হোসেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদমান ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের ছেলে তাজমুল হককে মারপিট করে। এতে গৃহবধু নাজমা বেগম স্বামীর ওপর মান অভিমান করে কীটনাশক(ঘাস পোড়া) পান করে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসাদহ বাজারের এক পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে চিকিৎসা করান। সামান্য সুস্থ্য হলে তাকে বাড়ীতেই চিকিৎসা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হয়। এ অবস্থায় গৃহবধু নাজমা খাতুন মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বাড়ীতে অবস্থান করা কালে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে বুকে প্রচন্ড যন্ত্রণা অনুভব করে। পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের নিকট নেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন গৃহবধু নাজমা খাতুন।
এ ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আকবর আলী বলেন,আমি জানতে পেরেছি গৃহবধু নাজমা বেগম তার স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘাসপোড়া নামক বিষপান করার সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে দ্রুত হাসাদহ এক পল্লী চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা দিলে স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে বাড়ীতে অবস্থান করা কালে বুকের যন্ত্রণা অনুভব করে এবং ডাক্তারের নিকট নেয়ার আগেই গৃহবধু নাজমা মারা যান। গৃহবধু নাজমাকে তার স্বামী মারধর করেছে এমন অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে ছেলে তাজমুলকে মারপিট করার কথা স্বীকার করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন,ঘটনার ব্যাপারে নিহতের পরিবার,এলাকার মেম্বার,চেয়ারম্যানদের দাবী গৃহবধু নাজমা বেগম বিষপান করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরিবারের লোকজন টের পাওয়ায় তাকে উদ্ধার করে এলাকার পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়া চিকিৎসা করান। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ তার বুকে ব্যথা অনুভব করে এবং কিছুক্ষণ পর মারা যায়। সকলের দাবী স্ট্রোক করে মারা গেছে। মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবারের কারো কোন অভিযোগ/আপত্তি না থাকায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।