জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের তিন স্কুল ছাত্রী অপহরনের দশ ঘন্টার মাথায় বুধবার গভীর রাতে থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে চৌকস পুলিশ অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর নাহিরুল ইসলাম ও রায়হান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তিন ছাত্রী বুধবার সকাল ৯ টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরনের শিকার হয়। ঘটনার বিষয়ে জীবননগর থানায় মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়,জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের তিনজন স্কুল ছাত্রী,যাদের মধ্যে একজন সপ্তম শ্রেনী এবং অপর দু’জন ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত। তারা প্রতিদিনের মত বুধবার সকাল ৯ টার দিকে বাড়ী থেকে কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। তাদেরকে কৌশলে পথিমধ্যে থেকে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে শিহাব(১৮),আব্দুস সালামের ছেলে নাঈম হোসেন(১৯),চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাঝরি বেগমপুর গ্রামের কালামের ছেলে লিখন(১৮) ও ভাসান আলীর ছেলে ইয়াসিন হোসেন(১৮) পরস্পর মিলে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চলে যায়।
ওই তিন ছাত্রী পরবর্তীতে বাড়ীতে ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে খোঁজাখুজি করে কোন হদিস না পাওয়ায় জীবননগর থানায় সাধারন ডাইরী নং-১৪৬ ইং-০৩-০৫-২৩ তাং করেন। বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশও বেশ তৎপর হয়ে ওঠেন। জীবননগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর এসএম রায়হান এব নাহিরুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তি ও মোবাইল টেকনোলজি ব্যবহার করে ঝাঝরি বেগমপুর গ্রামের একটি বাড়ী থেকে বুধবার গভীর রাতে তিন স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত চারজন কিশোর যুবককে গ্রেফতার করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন,গ্রেফতারকৃতরা তাদের পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তিন স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে রাস্তা থেকে নিয়ে যায়। তারা ওই তিন স্কুল ছাত্রীকে ঢাকায় তাদের বন্ধু সাকিবের নিকট পৌছে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সাকিব ইতিপুর্বে একাধিক মেয়েকে ফাঁদে ক্ষতি করেছে এবং দু’টি বিয়েও করেছে। ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।