জীবননগরে কর্মসৃজন কাজে অনিয়ম-দুর্ণীতির অভিযোগ কর্মসৃজনের শ্রমিকদের মাদ্রাসা মাঠে মাটি ভরাটের কাজে নিয়োগ!

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে ত্রাণ ও দুর্য়োগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে এলাকার একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ করানো হচ্ছে। কর্মসৃজনের শ্রমিকদের দাবী তারা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পিআইসির কথা মত মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ করছেন।

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসুচির কাজে তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের বাইরের শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো,সরকারী বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে কাজ না করে শ্রমিকদের দিয়ে অন্যস্থানে কাজ করানো এবং অল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে পুরো শ্রমিকের টাকা উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম-দুর্ণীতির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে হতদরিদ্র শ্রমিকদের কর্মসৃজনের কাজ।

কর্মসৃজনের শ্রমিকদের দিয়ে গত চার দিন ধরে মনোহরপুর গ্রামের এবতেদায়ী মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ করানো হচ্ছে। মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে করানোর কোন নিয়ম না থাকলেও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য ও কর্মসৃজন কমিটির সভাপতি চামেলী বেগমের মৌখিক নির্দেশে শ্রমিকেরা সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।

বুধবার সকালে সরজমিনে দেখা যায় মনোহরপুর এবতেদায়ী মাদ্র্রাসা মাঠে কর্মসৃজনের নারী-পুরুষ শ্রমিকেরা মাটি ভরাটের কাজ করছেন। তাদের দাবী তাদেরকে চেয়ারম্যান এবং পিআইসি যেখানে কাজ করতে বলেন সেখানেই আমরা কাজ করতে বাধ্য। তবে এবার গত ১৬ দিন ধরে কাজ করেও তারা কোন পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ করেন। কর্মসৃজন কাজের সর্দার সাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন,পিআইও মিজানুর রহমান ও পিআইসি চামেলী মেম্বারের মৌখিক নির্দেশে আমরা চারদিন ধরে মাদ্রাসার মাটি ভরাটের কাজ করছি।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও কর্মসৃজন কাজের চামেলী খাতুন বলেন,কর্মসৃজনের শ্র্মকি দিয়ে মাদ্রাসার মাটি ভরাটের কাজ করানোর কোন নিয়ম নেই। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানের নির্দেশে শ্রমিকেরা সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করছেন।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান বলেন,মাদ্রাসা একটি প্রতিষ্ঠান। এটি ব্যক্তিগত কোন প্রতিষ্ঠান নয়। মাদ্রাসায় মাটি দেয়ার কারণে পিআইও যদি মনের করেন তাদের হাজিরা দিবে না,তা না দিতে পারেন। শ্রমিকদের হাজিরা মাদ্রাসা কমিটি দিয়ে দিবে।

জীবননগর উপজেলা ত্রাণ  ও দুর্য়োগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,কর্মসৃজনের শ্রমিকদের কোন প্রতিষ্ঠানের মাটি ভরাটের কাজে নিয়োগ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কর্মসৃজনের শ্রমিকেরা মাদ্রাসা চত্বরে মাটি ভরাটের কাজ করছেন এমন কোন কিছু আমার জানা নেই। তবে আমি অফিসের লোক পাঠিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *