বিশেষ প্রতিনিধি:-
হ-য-ব-র-ল রাজনীতির মাঠে সরকার এবং বিরোধী দলের সবাই ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এমপি।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হযবরল হতে পারে। রাজনীতির মাঠে কী হয় আমরা কেউই জানি না। এমন বাস্তবতায় সরকার ও বিরোধী শিবিরের সবাই ঝুঁকিতে আছেন। তাই রাজনীতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না তারাই বিপদগ্রস্ত হবে। রাজনীতিতে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে ভয়াবহ পরিণতি হবে।
জাপার অবস্থান তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, জনগণের সামনে আমাদের রাজনীতি পরিষ্কার করতে চাই। আমরা কোনো দলের বি-টিম নই। নির্বাচনের আগে দলকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সঠিক রাজনীতি দিতে হবে। নির্বাচনের মাঠে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকবো। জাতীয় পার্টির ঐক্য বিনষ্ট করার শক্তি কারো নেই। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পার্টির সংসদ সদস্যদের এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
কূটনৈতিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কূটনৈতিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই। কূটনৈতিকরা যেনো আমাদের দেশে নিরাপদে কাজ করতে পারেন। সংসদে বিরোধীদলীয় এ উপনেতা বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই। বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি আওয়ামী লীগের এক মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তিনি কত শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন। পাশাপাশি কোনো প্রার্থী কত ভোট পাবেন তিনিও সেটি বলে বেড়াচ্ছেন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমরা জয়ী হতেই নির্বাচন করবো। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা ভালো ফলাফল করবেন। এ সময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, পার্টির মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো: আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশিদ সরকার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, লে: জে: (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বক্স, নাজমা আখতার এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মো: জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল। সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রওশন আরা মান্নান, শেরীফা কাদের, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, আহসান আদেলুর রহমান।