জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের আয়োজনে জীবননগর থানা পুলিশ জেলার সকল ইউনিটের পুলিশের মাঝে মৌসুমী ফল উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। কোন পুলিশ সুপারের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে সকল পুলিশ সদস্যকে নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব উদযাপন এবারই প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন তার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য এমন আয়োজনের জন্য তিনি নিজ ইউনিটের পাশাপাশি অন্যান্যদের কাছে প্রশংসায় ভাসছেন। অনেকের দাবী পুলিশের সকল ইউনিটে এমন ফল উৎসবে তারা অংশ গ্রহনের সুযোগ পাননি।
পুলিশ সুপারের দেয়া লিচু জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা সকল অফিসার ফোর্সদের মধ্যে এক আনন্দঘন পরিবেশে বিতরন করেন। এসময় সকল পুলিশ হাতে লিচু আর মুখে তাদের জেলা কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রশংসা শোনা যায়।
আব্দুল্লাহ আল-মামুন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদানের পর পরই তিনি কর্মস্থলে তার সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাধারন মানুষের নিকট একজন সৎ,যোগ্য ও সবার নিকট প্রিয়জন হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কর্মক্ষেত্রে অধিনস্থ সহকর্মিদের নিকট তিনি একজন কর্মি বান্ধব অফিসার হিসাবে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভাবে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি শুধু অধিনস্থদের ওপর খবরদারি-ই করেন না,তাদের সুখে-দুখে অভিভাবক হিসাবে যথাযথ দায়িত্ব বোধ দেখান। যাতে অধিনস্থরা তার প্রতি সন্তষ্ট ও খুশি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন তিনি ব্যস্ততম ও ঝুঁকিপুর্ণ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও মানবিক গুনাবলির অধিকার একজন মানুষ। তাইতো প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি ও বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং মানবিক কাজের মধ্যদিয়ে ইতিমধ্যেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি চলতি মৌসুমে তার অধিনস্থদের মাঝে বিভিন্ন আম,লিচুসহ নানা ফল বিতরনের মধ্যদিয়ে দারুন ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যদের নিকট থেকে জানা যায়,পুলিশ সুপার আব্দুল্রাহ আল মামুন একজন সৃষ্টিশীল ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসাবে তার কোন জুঁড়ি নেই। তিনি তার অধিনস্থদের শুধু দায়িত্ব দিয়েই কর্তব্য শেষ করেন না,বরং তাদের কর্মক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধাগুলিও খতিয়ে দেখেন এবং তার সমাধানে আন্তরিকতা দেখান।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঈদের নামাজ শেষে সড়কে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি পথচারিদের সাথে অত্যন্ত খোলামেলা ভাব ভঙ্গিতে কোলাকুলি করেন এবং মিষ্টি মুখ করান। যা দেথে শুধু পুলিশ সদস্যরাই নয়,সাধারন মানুষ দারুন ভাবে অভিভুত হয়েছেন। একজন পুলিশ সুপারের এমন মানবিক আচরন খুব কমই দেখা যায়।