জীবননগরে আওয়ামীলীগের কর্মি সভায় এমপি টগর “শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে”

জীবননগর অফিস:
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ বলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো, কৃষক সার পাবে কীটনাশক পাবে, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। আমরা বলেছিলাম কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৮ প্রকার ঔষধ সরবরাহসহ স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব, রাস্তা-ঘাট করবো, ব্রিজ করবো, বলেছিলাম মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন করবো। এই ১৪ বছরে কোনটা হয়নি সেটাই বলেন।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত আন্দুলবাড়ীয়ার শাহপুর, নিধিকুন্ড খাঁন পাড়া, কর্চ্চাডাঙ্গা জোল পাড়া, বিদ্যাধরপুর ও অনন্তপুর গ্রামে কর্মি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর এসব কথা বলেন।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শুধু একটাই চিন্তা করতাম কিভাবে এই অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন করবো৷ শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আমি মনে করি এই অঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর কন্যা বিধবা মায়েদের জন্য ভাতা, গর্ভবতী নারীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে। আজকে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি ট্যানেল, মেট্রোরেল, নতুন নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সভাপতিত্বে কর্মি পৃথক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী আলী আজগার টগর এমপি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে বেশীর ভাগ সময় বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতায ছিল। দির্ঘ ২৯ বছরে বিএনপি ও জামায়াত, জাতীয় পার্টি  রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। এসময় তারা কি উন্নয়ন করেছিল আমার জানা নেই। তাদের শাসনামলে কৃষক সার,ডিজেল নিয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানী। অথচ আওয়ামী লীগের ১৪ বছর শাসনামলে কি উন্নয়ন হয়েছে তা আপনার নিজেদের চোখে দেখে বলেন।
এমপি টগর অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা মকদেল হোসেনকে দেখতে যান। তার শারীরিক খোঁজ খবর নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেন, কেডিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার শিপলু, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম মধু প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *