জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর-মমিনপুর গ্রামীণ সড়কে রোববার রাতে সন্ত্রাসীরা ফার্মেসী ব্যবসায়ীকে রাস্তায় গতিরোধ করে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে নগদ টাকাসহ চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। এ সময় জনতার হাতে সাগর নামে এক ছিনতাইকারী আটক হয়েছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্র জানায়,জীবননগর হাসাদহ ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মোল্যার ছেলে জহুরুল ইসলাম(৩৮) মাধবপুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসী ও বিকাশ এবং ফ্লাক্য্রী লোডের ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি প্রতিদিনের মত রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
তিনি মাধবপুর-মমিনপুর সড়কের মাঝামাঝি মাঠের রাস্তায় পৌছালে তাকে ৫-৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ী ভাবে কোপাতে থাকে। এলোপাতাড়ী ভাবে তার মাথায় ও হাতে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। জহুরুল হক মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তার নিকট থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা ও ৪ টি মোবাইল ফোন ছিনাইয়া নিয়া যায়। জখমী জহুরুল ইসলাম সন্ত্রাসীদের মধ্যে মাধবপুর গ্রামের সাগর হোসেন(২০) ও জাব্বির হোসেনকে(২০) চিনতে পারেন। সাগর হোসেন মাধবপুর গ্রামের মৃত কাজল হোসেনের ছেলে এবং জাব্বির হোসেন একই গ্রামের সাবেক মেম্বার আশাদুল হকের ছেলে।
আহত জহুরুল হকের ডাক চিৎকাওে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জখমী জহুরুল ইসলামের পরিবারের শঙ্কা সন্ত্রাসী সাগর হোসেন প্রভাবশালী ঘরের সন্তান এবং তার দাদা রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাস হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আমাদের শঙ্কা শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা যাবে কি না।
এদিকে স্থানীয় জনতা ঘটনার পর পরই সাগর হোসেনকে(২০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। অন্যদিকে জাব্বির হোসেন পালিয়ে যায়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে ঘটনার সাথে জড়িত সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাগর হোসেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক সময়ের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কাজলের ছেলে। এলাকায় সাগর হোসেনও বাপের মত আতঙ্ক।