বিশেষ প্রতিনিধি:-
পবিত্র হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে জমায়েত হওয়া মুসল্লিরা সোমবার মিনায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার তারা যাচ্ছেন ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে। হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।
সৌদি আরবে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় সম্মিলন পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে আগেই। পবিত্র হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে জমায়েত হওয়া মুসল্লিরা সোমবার মিনায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার তারা হাজির হয়েছেন ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে। হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফাতের ময়দান।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজব্রত পালন করছেন। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মুসল্লিরা মিনা, আরাফাতের ময়দান, মুজদালিফা ও মক্কায় পাঁচদিন অবস্থান করবেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘আল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ।’
এদিন মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি মানুষকে ক্ষমা করেন। ক্ষমার আশায় সারাবিশ্ব থেকে আগত মুসলিমরা আরাফায় তাকবির, তালবিয়া, ক্ষমা প্রার্থনা ও কান্না-রোনাজারিতে ব্যস্ত রয়েছেন।
মসজিদ হারামাইন শরীফাইন (Haramain Sharifain) ফেসবুক পেজ ও সৌদির টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে হজের যাবতীয় কার্যক্রম। এতে দেখা যায়, হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফাতের ময়দান। সেখানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল মুসল্লিরা।
আরাফাত দিবসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ নামিরা থেকে হজের খুতবা ও নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এবার মসজিদে নামিরা থেকে হজের বক্তব্য দেবেন সৌদি আরবের সিনিয়র উলামা কাউন্সিলের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ।
আরাফাত দিবসে দিনভর কান্নাকাটি, দোয়া-ইসতেগফারের পর সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে হাজিরা রওনা হবেন মুজদালিফার দিকে। যেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবেন তারা। বুধবার হাজিরা উদযাপন করবেন পবিত্র ঈদুল আজহা। এরপর কোরবানির মধ্যদিয়ে শেষ হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।এর
এর আগে ঢাকায় হজ অফিসের এক বুলেটিনে মঙ্গলবার বলা হয়, হজযাত্রীরা মিনা যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু করেন পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার দিনভর তারা মিনায় অবস্থান করেন। এরপর মঙ্গলবার তারা সমবেত হচ্ছেন ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে। সেখানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন তারা।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, মোট ৩২৫টি হজ ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ৮শ’ ৮৪ হজ যাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। তাদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১শ’ ৮০ জন হজযাত্রী। সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪শ’ ৬৮ জন হজযাত্রী।
এছাড়া ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২শ’ ৩৬ জন হজযাত্রী। সৌদি আরব থেকে হজ যাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই এবং শেষ ফিরতি ফ্লাইট হবে ২ আগস্ট।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ অফিসের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ৪৮ হাজার ৪৯২ জন হজযাত্রীকে স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়েছে। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি হজযাত্রীর কোটা ছিল ১০ হাজার ৩৬০ জন। আর বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা ছিলো ২ হাজার ৫০৬ জন। হজ গাইডসহ মোট সৌদি আরবে মোট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের ৪ নারীসহ ২৬ জন হজযাত্রী ইন্তেকাল করেছেন। তাদের মধ্যে মক্কায় ২২ জন ও মদিনায় ৪ জন হজ যাত্রী মারা গেছে