জীবননগর অফিস:-
জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামে প্রভাবশালী ঘরের প্রেমিক হৃদয় হতদরিদ্র পরিবারের প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী মলিনাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের প্রতি অভিমান করে গত চার দিন আগে ঘাসপোড়া কীটনাশক পান করে। বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এদিকে রাতারাতিই দাফনের ঘটনায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় আলোচননার ঝড় তুলেছে। নিহত কলেজ ছাত্রী দেহাটি গ্রামের ভ্যান চালক সেলিম হোসেনের মেয়ে।
সরজমিনে এলাকাবাসী জানান,কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি বাজারপাড়ার মৃত বাচ্চুর ছেলে হৃদয়ের(২৫) সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় কলেজ ছাত্রী মলিনার। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে প্রভাবশালী হৃদয়ের পরিবারের লোকজন তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি ধামকি দেয়। ফলে মলিনার পরিবার ঘটনাটি নিয়ে বেকায়দায় পড়েন। এক পর্যায়ে গত চার দিন আগে দুপুরের দিকে মলিনার মা তাকে মারপিট করলে মলিনা তার বোনের বাড়ী করচাডাঙ্গায় চলে যায়। সেখানেও বোন-দুলাই ভাইয়ের চাপের মুখে পড়ে মলিনা। শেষ পর্যন্ত মলিনা সেখানে কীটনাশক পান করে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় বুধবার মলিনা খাতুন মারা যায়। এদিকে মৃত্যুর পর পরই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং নানামুখি গুঞ্জন শুরু হয়। নিহতের পরিবারকে ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে হৃদয়ের পরিবার।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে,হৃদয় এ এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক সেবনকারী এবং উথলী ব্যাংক ডাকাতের মূল হোতা ছিল। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে এবং তাদের দেহ ভোগ শেষে স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে থাকে।
নিহত মলিনার মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে ইতিমধ্যেই স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে। এদিকে মেয়েকে হারিয়ে হতবাক হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা।
এদিকে অভিযুক্ত হৃদয় তার প্রেমিকা মলিনার মৃত্যুর সংবাদ শোনা মাত্রই গা ঢাকা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হৃদয়ের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলতে গেলে তারা সাংবাদিকের কথা শুনে গেটের দরজা বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মজিবাররহমান।তিনি বলেন আমি জানতে পেরেছি চারদিন আগে ওই মেয়ে ঘাস মারা ওষুধ পান করেছিলো এবং বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি)জাবিদ হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,দেহাটি গ্রামে একটি মেয়ে ঘাস পোড়া ওষধ খেয়ে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে এটা শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত পুবক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।