জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের মালোপাড়ায় হতদরিদ্র পরিবারের ছয় বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে রিমন হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মঙ্গলবার সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ধর্ষণে শিকার শিশুটি বর্তমান দর্শনার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে পারছেন না। এদিকে ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া অভিযুক্ত কিশোর রিমন হোসেনকে পুলিশ কৌশলে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষক রিমন হোসেন উপজেলার উথলী গ্রামের মালোপাড়া রতন মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে ঘটনার শিকার শিশুটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির মা জানান, মেয়েটি রিমনদের বাড়ীর পাশে খেলতে গেলে তাকে ওখান থেকে ডেকে নিয়ে একটি কলা বাগানের মধ্যে নিয়ে যায় রিমন হোসেন।
সেখানে আমার শিশু মেয়ের সাথে যৌন মিলন ঘটায় । প্রথমে মেয়ে বিষয়টা বুঝতে না পেরে শিকার না করলেও পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি তার মা জানতে পারে। তখন খবর পেয়ে প্রতিবেশীদের সামনে শিশুটি এ ঘটনার কথ বলতে থাকে। অভিযুক্ত রিমন হোসেন তার বাড়ির পাশে একা পেয়ে কৌশলে ভুক্তভোগী ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে কলা বাগানের মধ্যে জোর পূর্বক পাশবিক যৌন নির্যাতন চালায়। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। বর্তমানে ওই শিশু দর্শনার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীর মা বলেন,আমাদের পরিবারের এমন অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আমি অসুস্থ আমার মা,বাবা অসুস্থ আমার মেয়েটা নাবালিকা, তার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটা মেনে নেয়ার মত নয়। ঘরে একটি চুলা ছিল সেটি বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসার চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ভাবে আমি থানায় অভিযোগ করতে যাব, সেই গাড়ি ভাড়া পর্যন্ত আমার নিকট ছিল না। কেউ আমাকে সহযোগীতা করবে,সেরকম লোকও নেই। আমার মেয়ের সাথে যে এমনটা করলো আমি ওই নরপশুর কঠিন বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মঈনুল হাসান বলেন, উথলী মালো পাড়ায় ৬ বছরের এক শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে পাশের বাড়ির রিমন হোসেন নামের একটি ছেলে। এটা আমি শুনেছি এবং মেয়েটিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য মঈনুল হোসেন বলেন,ঘটনার পর আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিষয়টি উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আপস নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক রিমন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।