বিশেষ প্রতিনিধি:-
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি (জিএম কাদের) বলেছেন, দেশে এখন একজনের কথাই আইন। তিনি যা বলবেন সেটাই আইনসিদ্ধ। কেউ না বললেই যেনো শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে ফেললো। তাই একজনের সিদ্ধান্তই এখন রায়। এমন বাস্তবতায় আমরা পড়ে গেছি। এ থেকে বাঁচতে হলে গর্ভনেন্স চেঞ্জ (সরকার পরিবর্তন) করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃৃতি পরিবর্তন করতে হবে। রাজনীতি পরিবর্তন করতে না পারলে কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাতে গেলে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইদানিং বিদেশীদের খুব দুর্নাম করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিদেশীরা খারাপ উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র ও ভোটের কথা বলছে। এসব কথার কোনো অর্থ নেই। বিদেশীরা জনগণের পক্ষেই কথা বলছে, তারা ভালো কিছু চাচ্ছে। বিভিন্ন রোগের টিকা বিদেশীরা আমাদের দিয়েছে। আবার তারা টাকা-পয়সা দিয়ে টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নও করছে। করোনাকালে আমেরিকানরা ১০ কোটি টিকা ফ্রি দিয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে, আমরা শুধু লুটপাট করবো আর বিদেশীরা আমাদের দেশের লোকদের দেখবে।
জিএম কাদের বলেন, মাদক কারবারের সাথে একটি শক্তিশালী চক্র আছে। তারা বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে আছে। মাদক নিয়য়ন্ত্রণে নেই, বরং আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। প্রতিটি গ্রামে মাদক আছে, প্রতিটি পরিবারে মাদকসেবী আছে। অভিযোগ আছে, মাদক ব্যবসায় বিশাল অঙ্কের মুনাফা আছে যা ক্ষমতাসীন দলের নেতা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে ভাগ হচ্ছে। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। যারা অর্থের লোভে মাদক বিস্তারে সহায়তা করছে, একদিন তাদের পরিবারই মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাবে। লোভ লালসার রাজনীতির জন্যও দেশে মাদকের বিস্তার কমছে না।
এ সময় ঢাকা আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা, সদস্য শাহরিয়ার হোসেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন রোড সেফটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী শারমিন রহমান, অ্যাডভোকেসি অফিসার তাসনিম মেহবুব বাঁধন, তরিকুল ইসলাম ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার আল তানভীর নেওয়াজ, প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।