বিশেষ প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাসহ জেলার চারটি উপজেলায় নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) চারজনই নারী। ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে যোগ দিচ্ছেন মোছা. মমতাজ মহল। তিনি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবু রাসেল স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর ইউএনও হিসাবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় শামীম ভুঁইয়ার পরিবর্তে মমতাজ মহল ইউএনও হিসাবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রথমবারের মতো সবকটি উপজেলাতেই নারী ইউএনও পাচ্ছেন জেলাবাসী।
বর্তমানে দামুড়হুদা,জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার তিনজনই নারী ইউএনও হিসাবে কর্মরত আছেন। তাদের সাথে নতুন করে যোগ হচ্ছেন সদর ইউএও হিসাবে মমতাজ মহল।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন রোকসানা মিতা। তিনি চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এ উপজেলায় যোগদান করেন। আলমডাঙ্গায় ইউএনও হিসাবে কর্তব্যরত আছেন স্নিগ্ধা দাস। তিনি গত ১৮ জুন থেকে আলমডাঙ্গা ইউএনও হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। জীবননগরে ইউএনও হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন আরেক নারী ইউএনও হাসিনা মমতাজ। তিনি যোগ দেন গত ১৯ জুলাই। এরপর গত ১৬ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা সদরে বদলি হন নারী ইউএনও মমতাজ মহল।
একটি জেলার চার উপজেলাতেই নারী নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে নারীদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন সচেতন মহল। সচেতন মহলের মতে চার উপজেলা নারী ইউএনওদের দায়িত্ব পালন নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী অগ্রযাত্রার রোল মডেল হতে পারে চুয়াডাঙ্গায়। যদিও কর্মক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের আলাদা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। নারীরাও এখন রাষ্ট্রের গুরু দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতি মেনে আদেশপ্রাপ্ত জেলার সবকটি উপজেলার ইউএনওরা তাদের কর্ম ও মায়া-মমতা দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মন জয় করবেন বলে প্রত্যাশা করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার।