জীবননগর বাজারের তোতা লাইব্রেরীর মালিকের বিরুদ্ধে লেকচার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ওপর হামলা ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর করে সাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহরের আযুব সুপার মার্কেটের তোতা লাইব্রেরীর মালিক উজ্জল হোসেন তোতার বিরুদ্ধে লেকচার প্রকাশিনর প্রতিনিধিদের মারপিট করে তাদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষরের পর তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি বুধবার দুপুরের দিকে সংঘটিত হয়েছে। তবে তোতা লাইব্রেরীর মালিক তোতার দাবী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে সৃষ্ট ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি  লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ঢাকা লেকচার প্রকাশনি লিমিটেড’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এন্ট্রি-পাইরেসি এ্যান্ড মার্কেট ডেভেলাপমেন্ট’র রাশেদুল ইসলাম বলেন,আমি ও কোম্পানির স্টাফ সাইফুজ্জামান,লোকাল প্রতিনিধি মারুফ হোসেন বুধবার দুপুর দুইটার দিকে জীবননগর বাজারে কোম্পানির প্রকাশিত বই বিভিন্ন লাইব্রেরীতে কি ভাবে বিক্রি হচ্ছে এবং শিক্ষকদের জন্য দেয়া বিনা মুল্যের বই কোন লাইব্রেরীতে বিক্রি হচ্ছে তা পর্যাবেক্ষন করার জন্য তোতা লাইব্রেরীতে যাই। আমরা বিধি অনুযায়ী তোতা লাইব্রেরীর ভিতরে প্রবেশ করে বইপত্র দেখতে থাকি। সেখানে একটি বিনা মুল্যের বই দেখতে পাওয়া যায়।

কিছুক্ষন পর উজ্জল হোসেন তোতা লাইব্রেরীতে গিয়ে আমাদেরকে হুমকি ধামকী ও গালিগালাজ করে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। মারুফ হোসেনকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে তোতা ও তার দুই ভাই জসিম ও মঞ্জিল আমাদেরকে মারধর করে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে তিন টাকা এক’শ টাকা দামের স্ট্যাম্প কিনে তাতে আমাদের জোর করে সাক্ষর নেয়। তোতা আমাদের সাথে বিশ্রী আচরন করে এবং আমাদেরকে ফেনসিডিল দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

তোতাদের সাথে আরো কয়েকজন ছিল যাদেরকে আমরা দেখলে চিনব। তারা আমাদের প্রকাশনির বই জীবননগর বাজারে বিক্রি করতে দিবে না এবং জীবননগর বাজারে আসলে খুন জখমের হুমকি দেয়। পরে লোকজন আমাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বের করে দেয়। আমরা থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী তারা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনা ঘটে গেছে। তবে সেখানে তোতা লাইব্রেরীর তোতা ও তাদের দুই ভাইসহ আরো কয়েকজন যুবকের সাথে লেকচার প্রকাশির লোকজনের সাথে গন্ডগোল হয়েছে বলে দাবী করেন।

ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত তোতা লাইব্রেরীর মালিক উজ্জল হোসেন তোতা বলেন,আমরা তাদেরকে মারধর করেছি এবং স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়েছি কথা মোটেও সত্য নয়। তারা বরং আমার অনুপস্থিতিতে আমার লাইব্রেরীতে প্রবেশ করে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে আমার লাইব্রেরীতে সাজানো বইপত্র এলোমেলো করেন। আমরা প্রতিবাদ করায় তারা মারমুখি আচরন করেন। আমরাও ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *