জীবননগর দেহাটিতে মা-মেয়ের হাতে বাবা খুন ঘাতক মা-মেয়ে পুলিশের খাঁচায়

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামে মা-মেয়ের হাতে নির্মম ভাবে খুনের শিকার হয়েছেন পিতা মতিয়ার রহমান(৪৫)। ঘটনাটি শনিবার সকাল ৮ টার দিকে নিহতের নিজ বসত ঘরের ভিতরে সংঘটিত হয়েছে।

পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মা-মেয়েক গ্রেফতার করেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান,মতিয়ার রহমান কেডিকে ইউনিয়নের  দেহাটি গ্রামের ব্রিজপাড়ার মৃত  গোলাম হোসেনের ছেলে। মতিয়ার রহমান দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। তার বিবাহিতা কন্যা ময়না খাতুনের(২৩) দাম্পত্য জীবন নিয়ে বিবাদ ছাড়া তেমন কোন ঘটনা পরিবারে ছিল না।

তার দুই ছেলে তারা বৈবাহিক কারণে ভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। এ অবস্থায় হঠাৎ শনিবার সকালে মতিয়ার রহমানের রক্তাক্ত নিথর দেহ ঘরে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ঘটনার পর মতিয়ার রহমানকে ভ্যান যোগে মতিয়ার রহমানকে দেহাটি বাজারে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায়। কিন্তু ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহত  মতিয়ার রহমানের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন(৪৫) ও কন্যা ময়না খাতুনকে(২৩) আটক করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা মা-মেয়ে মিলে মতিয়ার রহমানকে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করে।

হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা পুলিশ উদ্ধার করেন। তবে তারা কি কারণে এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে,তা পরিস্কার করে জানায়নি।

কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার মুজিবুর রহমান বলেন,আমরা ঘটনা শুনে মতিয়ার রহমানের বাড়ীতে যাই এবং সেখানে মতিয়ার রহমানের রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি।

মতিয়ার রহমানের  ময়না খাতুন আমাদেরকে জানায়,তার বাবা মতিয়ার রহমান তাকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় তাকে মা- মেয়ে মিলে ঘরে থাকা গরু জবাই করা ছুঁরি দিয়ে ঘরের ভিতরে খাটের গলার পোঁচ ও বুকে কোপ দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। আমাদের ধারণা ঘটনার পর রক্তক্ষরণ হয়ে  মারা গেছে।

মতিয়ার রহমানের ঘাতক ময়নার অভিযোগ এলাকার কারো কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়। আমরা ঘটনসর সুষ্ঠ সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত মা-মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নিকট থেকে ধারালো একটি ছুঁরি উদ্ধার করা হয়েছে।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ আরো চলছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্তে জানা যাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *