জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর কামারপাড়া মাঠে বিরোধপুর্ণ জমির ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে ক্ষতি করার একদিনের মাথায় সোমবার দুপুরের দিকে প্রতিপক্ষরা আবার একই জমির কলা গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে একের পর মাঠের উঠতি ফসল ক্ষতির ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী প্রান্তিক কৃষক।
জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রায়পুর কামারপাড়ার রুহুল আমিন দলুদের সাথে একই গ্রামের বাজারপাড়ার নার্সারী ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ও হুরাইরাদের আদালতে মামলা চলছে। বিরোধপুর্ণ জমিতে রুহুল আমিন গত আড়াই বছর আগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেয়ারা বাগান গড়ে তোলে। অন্যদিকে জমির চারিদিকে কলা গাছ লাগান।
রুহুল আমিন দলুর ভাই বাবর আলী বলেন,সাদ্দাম হোসেন,কবির হোসেন ও হুরাইরা কোন ভাবে জমি দখলে নিতে না পেরে বর্তমানে তারা পেশীশক্তির বলে জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা রোববার ভোরের দিকে ১২-১৩ কাঠা জমির ফলন্ত পেয়ারা বাগান কেটে সাবাড় করে। এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে আমরা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে তারা দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ১৭-১৮ টি কলা গাছ কেটে সাবাড় করে ক্ষতি সাধন করে। সাদ্দাম- হুরাইরা আদালতের নিষেধাজ্ঞাও মানছে না।
সাদ্দাম হোসেন বলেন,সোমবারে দুপুরের দিকে যে,ঘটনাস্থলের কলা গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন,রোববার ভোরে আমরা পেয়ারা গাছ না কাটলেও আমাদেরকে দোষারোপ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেই রাগে আমাদের ক্রয় করা জমিতে থাকা কলা গাছ আমরা কেটে দিয়েছি।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা তাহাজ্জুত হোসেন বলেন,ঘটনার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা আমাকে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে আইনি আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারটি আমি শোনা মাত্র রায়পুর পুলিশ ইনচার্জকে ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।