জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী,শ্বাশুড়ী ও শ্যালককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে জামাতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
জীবননগর পৌর শহরের দৌলৎগঞ্জ উত্তরপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে আসাদুর রহমান আসান(৩২) বলেন,আমার বোন সাজেদা খাতুনকে(৩৫) ২০০৪ সালে উপজেলার গয়েশপুর মন্ডলপাড়ার ইন্তাজুল হকের ছেলে আরিফুল ইসলাম ফনের(৪০) সাথে বিয়ে দিই। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে বর্তমানে এক ছেলে ও মেয়ে। এ অবস্থায় ফনে আমাদের কাছে যৌতুক বাবদ এক লক্ষ টাকা দাবী করে। কিন্তু আমাদের সামর্থ নাথাকায় তাকে টাকা দিতে পারব না বলে জানাই। এতে ফনে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাদেরকে গালিগালাজ ও হুমকি ধামকী দিতে থাকে। ফনে আমার বোন সাজেদাকে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আমরা ফনের প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারি ফনে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা এবং তার বোন পারভিনা আমার উক্ত বোন সাজেদা খাতুনকে যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট করে বাড়ীতে আটকিয়ে রেখেছে। এ খবর শুনে আমি ও আমার মা চায়না খাতুন একটি ভ্যান যোগে ফনেদের বাড়ীতে গেলেতারা আমাদের দেখা মাত্র তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে এবং এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে এবং আমার মা চায়না খাতুনকে হাতে ও আমার মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। লোকজন আমাদেরকে রক্ষা করেন। আমরা জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই।
এ ব্যাপারে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম পাকু বলেন,ঘটনার সময় আমি গ্রামে ছিলাম না। তবে ঘটনার কথা লোক মুখে শুনেছি। ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলার কথাও শুনেছি। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে থানায় লিখিত অভেোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা
হবে।