জীবননগর অফিস:
নানা নাটকীয়তার পর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহরের নারায়নপুরে ছেলের কিস্তির টাকার জন্য আদ্-দ্বীন ওয়েল ফেরার এনজিও’র এক কর্মি বৃদ্ধ বাবার আয়ের একমাত্র উৎস পাখিভ্যান গাড়ীটি কেড়ে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসনও। শেষ পর্যন্ত সোমবার বিকালে এনজিও কর্মি ফারিহা ওই বৃদ্ধের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভ্যান গাড়ীটি ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এদিকে বৃদ্ধ আব্দুল করিম তার ভ্যানটি ফেরত পেয়ে খুশি হয়েছেন।
জানা গেছে,জীবননগর পৌর শহরের নারায়নপুরের বৃদ্ধ আব্দুল করিমের ছেলে লিটন হোসেন(৩৫) আদ্-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার নামে একটি এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন। সেই ঋণের কিস্তি দিতে না পারার কারণে ছেলের ঋণের জামিনদার বৃদ্ধ পিতার আয়ের একমাত্র উৎস পাখিভ্যান গাড়ীটি গত রোববার দুপুরের দিকে নারায়নপুর মোড়ে উক্ত এনজিও কর্মি ফারিহা কেড়ে নিয়ে চলে যায়।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হলে সাধারন মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই এনজিও কর্মি ফরিহাকে নিয়ে শহরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। এইদিকে এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসনও।
বৃদ্ধ আব্দুল করিম বলেন, সাংবাদিকরা লেখালেখি করার কারেনে আদ-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের লোকজন আমার বাড়িতে আসেন এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আমার কাছে ক্ষমা চান ও ভ্যানটি ফিরিয়ে দিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, এই ভ্যানটি কয়েক বছর আগে নিজের টাকায় কিনেছিলাম। লোনের টাকায় কিনিনি। আমার ছেলে লোন নিয়ে টাকা পরিশোধ করেনি। আমি জামিনদার বলে আমার উপার্জনের একমাত্র উৎস ভ্যানগাড়ীটি নারায়নপুর মোড় থেকে কেড়ে নিয়েছিল।
আদ-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের জীবননগর শাখার ম্যানেজার শাখওয়াত হোসেন বলেন, সোমবার বিকালে ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যানটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আসলে কাজটি চরম অমানবিক হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত কর্মির বিরুদ্ধে আদ-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ বলেন,সোমবার বিকালেই আদ-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের লোকজন বৃদ্ধের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া ভ্যানটি ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না বলেও জানিয়েছেন।