জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের স্কুলপাড়ায় শিশু বাচ্চাদের মধ্যেকার মারামারির ঘটনায় দু’পরিবারের সৃষ্ট সংঘর্ষে অন্ত:সত্বা নারীসহ ৭ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে সংঘটিত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা শেষে ঘটনার ব্যাপারে থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযেগা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া স্কুলপাড়ায় শিশু বাচ্চাদের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’টি পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্ত:সত্বা নারীসহ উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেণ সৃষ্ট ঘটনায় জীবননগর থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
কয়া গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে বিউটি খাতুন বলেন,ছোট শিশুদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আমাদের প্রতিবেশী সেলিম,মফিজুল ও সেলিনা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে আমাদের বাড়ীর সামনে এসে আমাকে ও আমার মা সাহিদা খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক জখম করে। এ সময় তারা আমার গলায় থাকা সোনার চেইন ও একটি সোনার কানেরতা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সমাজে বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিপক্ষ সেলিমের দাবী তাদের প্রতিবেশী বিউটি,সাহিদা,সোহেল,জুয়েল,রাকিব ঘটনার সময় আমাদেরকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা সকলেই একজোট হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার অন্ত:সত্বা বোন সেলিনা,স্ত্রী রুপা,মা সালমা ও বাবা ইব্রাহিম আহত হয়। তারা আমার মা,বোন ও স্ত্রীকে টানা হেচড়া করে বেআবরু করে শীলতাহানি ঘটায়।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন,ঘটনার কথা শুনেছি। উভয়পক্ষের মধ্যে ছোট শিশুদের মারামারি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ মারামারি করেছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে কার কি অপরাধ তা বলা যাবে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা।