জীবননগর সুটিয়ায় বিয়ের ৮ বছর পর এক সাথে চার সন্তানের জন্ম

জীবননগর অফিস:-

বিয়ের দীর্ঘ আট বছর পর এক সাথে চার সন্তানরে জন্ম দিয়েছেন তহমিনা খাতুন নামের এক গৃহবধূ। যশোর আদ্ দ্বীন নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে বুধবার(৪অক্টোবর) অপারশেনের মাধ্যমে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।

চার নবজাতককে বর্তমানে নিবিড় পর্যাবেক্ষনে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি টক অব দ্য উপজেলায় পরিণত হয়েছে।

প্রসূতি মা তহমিনা খাতুন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়া মাঝপাড়ার জিয়াউর রহমান জিয়ার স্ত্রী। জিয়া পেশায় একজন প্রান্তিক কৃষক। আট বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু দীর্ঘ  দাম্পত্য জীবনে তাদের সন্তান না হওয়ায় তারা চিকিৎসকের  স্মরণাপন্ন হনি।

কিছুদিন চিকিৎসার পর  পর গৃহবধু তহমিনা গর্ভবর্তী হলে পরিবারে সুখের বার্তা বইতে থাক। এ অবস্থায় গৃহবধু তহমিনার গর্ভের সন্তান দশ মাস র্পুণ হলে বুধবার সকালের দিকে যশোরের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে অপারশেনের মাধ্যমে পর পর চারটি বাচ্চা প্রসব করেন।

নবজাতকদের বাবা কৃষক জিয়াউর রহমান জিয়া বলনে,তাদের গত ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘ  ৮ বছর ধরে নি:সন্তান ছিলেন। দশ মাস আগে আমার স্ত্রী তহমিনা খাতুন সন্তান সম্ভবনা হয়। সদ্যজাত সন্তানদের নাম রাখা হয়েছে জুম্মান,জুবায়ের,জুনিয়া ও জিনিয়া।

আদ্-দ্বীন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.শীলা পোদ্দার বলেন, এক সাথে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন গৃহবধু তহমিনা খাতুন। বর্তমানে মা ও নবজাতকেরা সকলেই ভাল আছেন। তবে জন্মের পর নবজাতকদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম হওয়ায় তাদেরকে নিবিড় পর্যাবেক্ষনের রাখা হয়েছে।

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার বকুল হোসেন বলেন,জিয়া দম্পতিদের বিয়ের ৮ বছর পর এক সাথে ৪ টি বাচ্চা হওয়ায় তাদের পরিবারে খুশির জোঁয়ার শুরু হয়েছে। আমার জানামতে মা ও নবজাতক সবাই এখনও পর্যন্ত সুস্থ্ আছে।

একদিকে এক সাথে চার সন্তানের জন্ম দেয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উৎসুক জনতার মাঝে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

উৎসুক জনতার অনেকেই প্রসূতি তহমিনার গ্রামের বাড়ী সুটিয়ায় ভিড় করছেন নবজাতকদেরকে এক নজর দেখতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নবজাতকেরা বাড়ীতে না আসায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে ঘটনাটি টক অব দ্য উপজেলায় পরিচনত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *