দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদ দেশের সেরা ইউনয়ন দাবী এলাকাবাসী

আওয়াল হোসেন ,দর্শনা:-

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদ বর্তমানে দেশের সেরা ইউনিয়ন হিসাবে দাবী করছে অঞ্চলের মানুষ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সমর সম্মুখ যুদ্ধের রনাঙ্গণ ছিলো ইউনিয়নটি। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সমর সম্মুখ যুদ্ধ হয় ইউনিয়ন জুড়ে

সময় সারা মদনা গ্রামে আগুন ¦ালিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পাকবাহিনী। সেই ইউনিয়নটি এখন দেশের সেরা ইউনিয়ন পরিষদ হিসাবে দাবী করছে এলাকাবাসী। দর্শনা শহর পেরিয়ে পশ্চিম দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা সুলতান রাজা ব্রীজ পার হলেই পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন। যে ইউনিয়নে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সময় পাকহানাদার বাহিনী তান্ডব চালিয়ে নানা কলংকিত ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছে। দেশকে মুক্ত করতে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুখোমুখি মুক্তিযুদ্ধ করে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মহতি দেওয়ার বিজয়গাঁথা অসংখ্য ইতিহাসও আছে।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময় দর্শনা ইউনিয়নকে ভেঙ্গে ১৯৯১ সালে দর্শনা ইউনিয়ন ভেঙ্গে পৃথক একটি দর্শনা পৌরসভা কুড়লগাছী ইউনিয়ন পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন গঠিত হয়। ১৩টি গ্রাম নিয়ে ১৭ হাজার ৬শত ৬৬ জন পুরুষ ১৬ হাজার ৪৩২জন নারীসহ জনসংখ্যা এবং ১৫ হাজার ৮৮৭ জন ভোটার সংখ্যা গঠিত হয় ইউনিয়নটি। বর্তমানে যে ইউনিয়নে জনসাধারণের চলাচলে জন্য পিচঢালা সড়ক নির্মিত হয়েছে। সড়কগুলোর কোথাও এক ইঞ্চি কাঁচা সড়ক নেই। যে ইউনিয়নে ৫৩টি সড়কের ৫৩জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে নাম করণ করা হয়েছে।

সড়কের দুপাশে সোলার বিদ্যুৎ এর আলোয় সন্ধার পর সড়কগুলোকে আলোকিত হয়ে থাকে। এই ইউনিয়নটি এক পাশে বাংলাদেশ ভারতের প্রায় কিলো মিটার সীমান্ত রয়েছে। অন্য পাশে দর্শনা পৌরসভা কুড়লগাছী ইউনিয়ন। পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নে রয়েছে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, একটি স্কুল এ্যান্ড কলেজ। প্রতিটি স্কুল কলেজ, মাদ্রসা   ১১টি সরকারী প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১টি শহীদ মিনার।

এছাড়া মদনা বাজারে স্বাধীনান ফলক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মোরাল, পারকৃষ্ণপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রীজের নিকট মুিক্তযুদ্ধে পাকবাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে নিহত ১৭ জন মিত্র স্মৃতি স্তম্ভ, হৈতপুর গ্রামে পাকবাহিনীর দুইজন কৃষকসহ ৩জন মুক্তিযোদ্ধাসহ জন মুক্তিযুদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করে।

এরা হলেন,শহীদ জুড়োন মন্ডল, ইছাহক আলী, দাউদ আলী, বাহার আলী শহীদ আব্দুল মান্নান। তাদের স্বরণে জন মুক্তিযোদ্ধার করব মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মিত হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়নের মানুষের বিনোদনের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা সুলতান রাজা ব্রীজের পাশে মাথাভাঙ্গা নদীর পাশে একটি পার্ক নির্মান করেছে ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম। পার্ক, মিত্র বাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভ, স্বাধীনতার ফলকের রূপকার বা ডিজাইন করেছেন আব্দুস সামাদ আজাদ পিপু।

ইউনিয়নের মাঠে মাঠে কৃষকদের জন্য বজ্র শেল্টার নির্মিত হয়েছে। যেখানে মাঠের কৃষকরা বজ্রবৃষ্টি হলে আশ্রয় নিতে পারবে। এবং বজ্রবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য সড়কের পাশে তালগাছ লাগানো হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি গ্রামে ঈদগাঁয়ের কবর স্থানের চারপাশে প্রাচীর নির্মান করেছে। ২০০০ সালের বন্যায় ইউনিয়ের মানুষের পাশে থেকে ব্যাপক সহায়তাসহ অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছে জাকারিয়া আলম। বর্তমান চেয়ারম্যান দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি এস এম জাকারিয়া আলম দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালিন পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের যৌতুক, তালাক, নারী নির্যাতন, জমিজমা, দুপক্ষের মধ্যে বিবাদের মত ঘটনাগুলো গ্রাম আদালতে নিস্পত্তি করেন শতভাগ।

এছাড়া নিজ বাড়িতে বসেও সন্ধার পর সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে অসংখ্য বিবাদ নিরশন করেন। এছাড়া বাইরের ইউনিয়নের মানুষের অসংখ্য বিবাদ সালিশ করে আসছেন চেয়ারম্যান। তবে চোরাকারবারী আটক, ধর্ষনকারী হত্যা মামলাগুলো শুধুমাত্র থানায় বা কোটে যায়। এছাড়া তার দীর্ঘদিন সৃজনশীল কর্ম এখন অনুকরনীয়। দলমত সকল পর্যায়ের মানুষের পাশে থেকে ন্যায্য বিচার সালিশ করে যাচ্ছে অসংখ্য বিবাদ মীমাংসা করে যাচ্ছেন তিনি।

বর্তমানে তিনি দামুড়হুদা উপজেলার আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেশের চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত চেয়ারম্যান ফোরামের বর্তমানে সভাপতি। দক্ষ চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি জাতীয় আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বর্ণপদকসহ নানা স্বীকৃতি পেয়েছেন।

শুধু চেয়ারম্যানই নয়, চুয়াডাঙ্গা আসনে মীর্জা সুলিতান রাজা বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের সাথে সংসদ নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক ভুমিকার রেখে চলেছে এস এম জাকারিয়া আলম।

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা আসন এলাকায় সর্বজনীন মানুষের মাঝে এস এম জাকারিয়া আলমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে জানান অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *