বিশেষ প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু ডিস্ট্রিলারীর উৎপাদিত মদ কোম্পানীর নিজস্ব কাভার্ট ভ্যান ( চুয়াডাঙ্গা উ ১১-০০০৯) যোগে সান্তাহার পণ্যাগারে রেখে ফেরার পথে অবৈধভাবে কন্টিনারে করে নিয়ে আসতে গিয়ে ধরা পড়েছে চালক মনিসহ ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অক্টোবর রাতে সংঘটিত হয়েছে।
জানা গেছে কেরু ডিস্ট্রিলারীর উৎপাদিত দেশী মদ নিয়ে কেরুর নিজস্ব পরিবহনে দেশের বিভিন্ন পণ্যাগারে পাঠানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২২ অক্টোবর কাভার্ড ভ্যানে করে মদ সান্তাহার পণ্যাগারে পাঠানো হয়। পথিমধ্যে বিশেষ কৌশলে ড্রামের সিল কেটে চালক ও তার কথিত হেলপার নামধারী শুকুর আলী ও বাপ্পা মদ বের করে তাদের নিজস্ব কন্টিনারে লুকিয়ে রাখে। পরে সান্তাহার পণ্যাগারে মদ ভর্তি ড্রাম নামিয়ে দিয়ে পরদিন কেরুতে ফেরার সময় দর্শনা রেলগেটে দামুড়হুদা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং গাড়ি সহ দামুড়হুদা থানায় নিয়ে যায়। পরে কেরুর কতিপয় নেতা থানায যোগাযোগ করে ছাড়িয়ে নিলে পরক্ষনেই ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কেরুর গাড়ি চালক মনি সহ বাপ্পা ও শুকুর আলী। অতঃপর গাড়ি ডিবি পুলিশ হেফাজতে রেখে ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।
গত প্রায় ৩ মাসের মধ্যে কাভার্ড ভ্যান চালক মনি একবার শ্রীমঙ্গল ও একবার ময়মনসিংহ পণ্যাগারে মদ পৌছে দিয়ে ফেরার পথে পথিমধ্যে অবৈধ ভাবে মদ চুরি করে আনতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও সে যাত্রায় ম্যানেজ করে ছাড়া পায় বলে একটি সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে কেরু পরিবহন বিভাগের প্রধান(ব্যবস্হাপক পরিবহন প্রকৌশল) জনাব আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও বিষয়টি শুনেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান তবে কত লিটার মদ সহ ধরা পড়েছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন নি।সম্প্রতি বরিশাল পণ্যাগার থেকে ফেরার পথে ঠিক একই ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার নেই। তখন চালক সাইফুল সহ ৩ জন ১০০ লিটার বাংলা মদ সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ১৫/২০ দিন হাজত বাস শেষে সম্প্রতি জামিন পেয়েছে। হরহামেশা মদ, চিটাগুড়, সার কেলেঙ্কারী সহ নানা দুর্ণীতিতে ছেয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী কেরু এ্যন্ড কোম্পানী। সবচেযে বড় সমস্যা চুরি বা দুর্ণীতি করে ধরা পড়লেও তার কোন সাজা হয় না। তাহলে কি সিবিএ নেতাদের কাছে জিম্মি কেরু প্রশাসন? এমন প্রশ্ন আমজনতার।