ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জবাবে ৪৬.৪ ওভারে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের কাছে ১৪৯ রানে হেরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ টানা চতুর্থ হারের মুখ দেখেছে।
এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে দেশ ছেড়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। আর টাইগার বাহিনীদের নিয়ে দেশের ভক্ত সমর্থকদের প্রত্যাশা তো বরাবরই আকাশচুম্বী।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফাগানিস্তানকে হারিয়ে সূচনাটা ভালোই হয় বাংলাদেশের। তবে পরের চার ম্যাচে টানা হারে হতাশ হতে হয় দর্শকদের। আর এই হারে দশ দলের লড়াইয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।
কিন্তু তাতেও পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা। তবে সেই সম্ভাবনার পুরোটা এখন আর সাকিবদের হাতে নেই। সেমিফাইনালে যেতে হলে নিজেদের বাকি চার ম্যাচ জিততে তো হবেই, পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকেও।
পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ভারতের সেমিফাইনাল মোটামিুটি নিশ্চিত বলাই যায়। একই অবস্থা পাঁচ ম্যাচে সমান চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পরের দুটি স্থান দখলে রাখা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের। অর্থাৎ এই তিন দলকে সেমিফাইনালে নিশ্চিত ধরে নিলেও চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার সুয়োগ রয়েছে অন্য একটি দলের। এক্ষেত্রে দৌড়ে টিকে রয়েছে টুর্নামেন্টের বাকি সবগুলো দলই। চার ম্যাচে দুই জয়ে কিছুটা সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের পরের চার ম্যাচ নেদারল্যান্ডস (২৮ অক্টোবর), পাকিস্তান (৩১ অক্টোবর), শ্রীলংকা (৬ নভেম্বর) ও অষ্ট্রেলিয়ার (১১ নভেম্বর) বিপক্ষে।
বাংলাদেশ যদি এই চার ম্যাচের সবগুলোতে জিততে পারে তবে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ১০। এক্ষেত্রে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের কাছে হেরে যাওয়ায় তাদের জয় সংখ্যা কমবে। আবার পাকিস্তানের এখনও খেলা বাকি রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার খেলা বাকি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। এই তিন দল কিংবা আফগানিস্তান নানা যদি-কিন্তুর পর যদি এমনভাবে জয়-পরাজয় লাভ করে, যেখানে কেউই পাঁচ ম্যাচের বেশি জিতবে না। সেক্ষেত্রে একাধিক দলের পয়েন্ট ১০ হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে সেমিফাইনালে। আর টানা চার ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের নেট রানে রেটও যে বাড়বে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই ভক্তদের এখন প্রত্যাশা বাংলাদেশের পরের চার ম্যাচের জয় এবং সুবিধাজনক সমীকরণে অন্য দলগুলোর পরাজয়।